একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি কমিটি, তিন জন প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে রশি টানা টানি এবং শিক্ষক সংকট সহ বিদ্যালয়ের নানা সমস্যার কারণে ১৮ এপ্রিল বৃহ¯পতিবার ক্লাস বর্জন করেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকে শ্রেণী কক্ষে অধিকাংশ শিক্ষকরা অনিয়মিত ভাবে পাঠদান সহ কমিটি ও প্রধান শিক্ষক নিয়ে দন্ড থাকায় অনিয়মিত ভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা হওয়ায় সকল শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ঘোষণা দেয়।
দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী কামরুল ও পারভেজ বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়ের জন্য সেসন ফি সহ অন্যান্য ফি শিক্ষার্থীতের কাছ থেকে নিয়মিত আদায় করা হলেও তা যথাযথ ভাবে খরচ করা হয় না। বর্তমান বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে বসার ব্রেঞ্জ এবং ব্যবহারের জন্য টয়লেট নেই। এই প্রতিষ্ঠানে তিনজন শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাবী করলেও সৃষ্ট সমস্যা গুলোর সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনা। তাই এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানে দাবীতে সকল শিক্ষার্থী একত্রি হয়ে শ্রেণী কক্ষে তালা লাগিয়ে ক্লাস বর্জন করেছি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের সংবাদ পেয়ে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক লজাবত আলীর কোন দেখা পাওয়া যায়নী। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককে তার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সেও বলতে পারে না তিনি এখন কোথায়। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইল ফেনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায় না। প্রধান শিক্ষক সম্পর্কে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জিজ্ঞেস করলে তিনিও বলেন কোথায় গেছেন আমাকেও বলেনি। স্কুলচলা কালিন সময়ে স্কুলে গিয়ে আমিও তিন দিন তাকে পাইনী।
হিন্দা হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের সংবাদ পেয়ে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লাহ ও বড়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীর ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে আনেন।
সহকারী শিক্ষক বাবলু বলেন, ম্যানিজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকে নিয়ে জটিলতার কারণে সাত মাস যাবৎ স্কুলের কোন শিক্ষক কর্মচারী বেতন ভাতা পাইনী। তবে সকল শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসে ও ক্লাস করায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা মধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লাহ সরকার বলেন, কমিটি ও প্রধান শিক্ষক নিয়ে দন্ড সহ বিদ্যালয়ে নানা সমস্যা রয়েছে। ফলে শিক্ষকরা ইচ্ছে মত বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে কমিটি ও প্রধান শিক্ষক নিয়ে মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকার কারণে আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসে একজন সহকারী শিক্ষককে এক মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসা করি দ্রুত কমিটি গঠন এবং প্রধান শিক্ষক এর জটিলতা সমাধা হবে।