পাবনার চাটমোহরে ধর্ষনের শিকার ৬ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার চেষ্টার পর আতংকিত ওই শিশুকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১১ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে হত্যার চেষ্টার পর ১৬ এপ্রিল শিশুটি আতংকে পড়ে গিয়ে আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে থানায় মামলাসহ একাধিক অভিযোগ দেওয়া হলেও ধর্ষনকারী লস্পটকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ইসরাফিল হোসেনের শিশু কন্যা,শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্রীকে গত ১৮ মার্চ’১৯ তারিখে ধর্ষন করে একই গ্রামের কোমর আলীর ছেলে চাঁদ আলী (১৭)। ২০ মার্চ সকালে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির নানা বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও মামলা নিতে গড়িমসি করে থানা পুলিশ। ঘটনার ৩ দিন পর ২১ মার্চ পুলিশ মামলা গ্রহণ করে। কিন্তু এখনো গ্রেফতার হয়নি লম্পট চাঁদ আলী।
এরপর ১১ এপ্রিল ধর্ষন মামলার দায়ের ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লম্পট চাঁদ আলীর বাবা কোমর আলী,মা লিলি বেগ,বোন মুক্তি খাতুন ও কেয়া খাতুন শিশুটিকে ফুসলিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিশুটির পড়নের হাফ প্যান্ট খুলে গলা টিপে ধরে হত্যার অপচেষ্টা করে বলে অভিযোগ। শিশুটির চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং কোমর আলীকে আটক করে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একাধিক সূত্র জানায়,লম্পট চাদ আলী ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতার আশ্রয়ে রয়েছে। পুলিশও বিষয়টি অবগত। শিশুটির সাথে কথা হয় এই প্রতিনিধির। শিশুটি ভয়ে,আতংকে কুকড়ে গেছে। এরই মধ্যে ১৬ এপ্রিল তাকে কেউ তাড়া করলে ভয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়। ভর্তি করা হয় চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয়েছে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই শরিফুল ইসলাম জানান,১৮ মার্চে ধর্ষন ঘটনার পর ২১ মার্চ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং অভিযুক্ত চাঁদ আলীকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষায় নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী দিয়েছে। এরমধ্যেই আসামী পক্ষের লোকজন দ্বারা শিশুটিকে মারার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।