হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘হাওরে উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা এবং গাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তরা বলেছেন, সুনামগঞ্জের কৃষকদের সাথে প্রতারণা করায় এবং ডুবে যাওয়া ঢসলের মনগড়া হিসাব দেওয়ায় সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. বশির উদ্দিন সরকারের সাত দিনের মধ্যে সুনামগঞ্জ থেকে বদলী বা অপসারণ না করলে কৃষকদের নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঘেরাও করা হবে। তিনি ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জের সকল হাওরের কাঁচা ধান তলিয়ে যাওয়ার পর সরকারের দপ্তরে ৫০ শতাংশ ধান কর্তন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। সেবারও আমরা তার অপসারণ দাবি করেছিলাম। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেননি তাই তিন এবার অতি উৎসাহী হয়ে বলছেন সুনামগঞ্জে হাওরের ৯৬ শতাংশ ধান কর্তন করা হয়েছে যা হাওরের বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই। এই বক্তব্য তাকে প্রত্যাহার করে সুনামগঞ্জের কৃষকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
সোমবার দুপুর ১১ ঘটিকায় শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ারে হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বেও সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশার সঞ্চালনায় ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শরু হওয়ার পর থেকেই আমরা দাবি করেছিলাম নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধের কাজ হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ বাঁধ ভেঙে যাবে, তাই হলো একদিনের বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেলো জেলার পাঁচাটি হাওর। তারা বলেন, দুঃখ জনক হলেও সত্য হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে সরকারেরমন্ত্রী সচিবরা জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জে একাধিকবার গিয়েছেন কিন্তু এ এলাকার বাঁধ গুলো প্রথম ভেঙে হাওর ডুবলো। তারা হাওর ডুবার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে বলেন, দুর্নীতিবাজদের বাাঁচাতেই এ রিপোর্ট। পাউবো ও পিআইসি যে টাকা হরিলুট করেছে তা বৈধ করতেই এ রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। এটা কৃষকের সাথে প্রতারণা, সে রিপোর্ট পরিবর্তন করে হাওরের সঠিক চিত্র উপস্থাপনের জন্য দাবি জানানো হয়। তারা আরো বলেন, এ বছর সুনামগঞ্জে ৮লাখ ৭৫ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো, তাই কৃষকদের উৎপাদিত ধানের অর্ধেক সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করার জন্য দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নারী নেত্রী শিলা রায়, রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধিা আবু সুফিয়ান, সহ সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সদস্য ইয়াকূব বখত বহলুল, সঞ্চিতা চৌধুরী, ডাঃ মোর্শেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরানুল হক চৌধুরী, সদর উপজেলা সদস্য সচিব শহীদ নুর আহমেদ, হাবিবুর রহমান, আসাদ মণি, দূর্জয় প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সুকেন্দু সেন, কবি ইকবাল কাগজী, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য্য, সদস্য অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলাম, কাজি নুরুল আজিজ,সদর আহ্বয়ক চন্দন রায়, যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন, মো. রাইসুজ্জামান,
উল্লেখ্য হাওর ডুবির ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. বশির উদ্দিন সরকার বলেছিলেন, সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারা ও ছাতক বাদে অন্য সব উপজেলার ধান কাঁটা হয়ে গেছে। এই তিনটি উপজেলায় সামান্য ধান উঁচু শ্রেণির জমিতে রয়ে গেছে। এ পর্যন্ত গড়ে ৯৬ ভাগ জমির ধান কাঁটা হয়ে গেছে। যে ৫টি হাওর ডুবেছে সেগুলোর ধান কাঁটা হয়ে গেছে।