ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার চার আসামীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত আসামীদের তোরা হলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফেনীর পরিদর্শক (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানান, নুসরাত হত্যা মামলার এজহারভূক্ত আসামি সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিল মাকসুদ আলম ও নুসরাতের সহপাঠী মোহাম্মদ শামীমকে ৫ দিন করে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়। এ ছাড়া মাদরাসার প্রভাষক আবসার উদ্দিন ও আরিফুর রহমানকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত জাহান রাফি আলিমের আরবি (প্রথম পত্র) পরীক্ষা দিতে গেলে মাদ্রাসায় গেলে দুর্বৃত্তরা কৌশলে তাকে মাদরাসার সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে নিয়ে যায়। পরে তাকে বোরকা পড়া দুর্বৃত্তরা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এ সময় নুসরাত মামলা প্রত্যহারে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫দিন পর গত ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান গত ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় এজহার নামীয় ৮ জনসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।