মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ৩ দিনের মাথায় আবারো দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে মিয়ানমার এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। গত রোববার দেশটির মান্দালয় বিমানবন্দরে ল্যান্ডিংয়ের সময় সামনের চাকা না খোলায় মুখ থুবড়ে পড়ে বিমানটি। তবে এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত রোববার ইয়াঙ্গুন থেকে মান্দালয় বিমানবন্দরের উদ্দেশে ৮২ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে এমব্রেয়ার ১৯০-এলআর মডেলের উড়োজাহাজটি। তবে, বিপত্তি দেখা দেয় ল্যান্ডিং করার সময়। রানওয়েতে নামার সময় বিমানের সামনের চাকাগুলো খোলেনি। তাই শুধু পিছনের চাকার উপর ভর করেই রানওয়েতে ল্যান্ড করে বিমানটি। ফলে ল্যান্ডিংয়ের সময় মুখ থুবড়ে পড়ে বিমানটি। এ সময় রানওয়ের সঙ্গে ঘঁষা লেগে আগুনের ফুলকি উঠতে দেখা গেলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই কিছুদূর এগিয়ে বিমানটি থেমে যায়। পরে বিমানটির জরুরি নির্গমন পথ দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে আসেন বিমানটির যাত্রীরা। এদিকে মিয়ানমার এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ঘটনা প্রসঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, উড়োজাহাজটির সামনের ল্যান্ডিং গিয়ারের গোলযোগ ধরা পড়েছিল। চাকাগুলো খুলতে পাইলট ইমারজেন্সি ব্যাকআপ ব্যবহার করেন। তবে তাতেও কাজ হয়নি। অবতরণ না করতে পেরে বিমানটি কন্ট্রোল টাওয়ারের পাশে দুইবার চক্কর দেয়। এ সময় বিমানটির ওজন কমাতে জ¦ালানি তেল ফেলে দেন ক্যাপ্টেন। পরে সকাল ০৯.০৯ মিনিটে অবতরণ করে বিমানটি। এদিকে মান্দালয় বিমানবন্দরে এই দুর্ঘটনার পর প্রায় আড়াই ঘন্টা বিমান ওঠানামা করে রাখা হয়। পরবর্তীতে গত রোববার সন্ধ্যা থেকে আবার পুরোদমে বিমান চলাচল শুরু করা হয়।