মৌসুমি ফল বিশেষ করে লিচুর জন্য বিখ্যাত জনপদ কাপাসিয়া। গাজীপুরের কাপাসিয়ার লিচুর স্বাদই আলাদা। ঢাকা শহর তথা দেশব্যাপীই কাপাসিয়ার লিচুর রয়েছে ব্যাপক সুনাম ও কদর। কাপাসিয়ার ১১টি ইউনিয়নের সর্বত্রই লিচুর চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে দূর্গাপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি লিচু চাষ হয়ে থাকে। কাপাসিয়ায় লিচুর মূল ঘাঁটি হচ্ছে দূর্গাপর। এ ইউনিয়নের প্রায় সব পরিবারেরই ছোট- বড় লিচু বাগান রয়েছে। অনেক পরিবার সম্পূর্ণ লিচু চাষের আয়ের উপর নির্ভরশীল। এ এলাকার লিচুর দামও ভালো। লিচুর প্রধান মোকাম রানীগঞ্জ বাজার। স্থানীয় রানীগঞ্জ বাজারে সবচেয়ে বেশী লিচু কেনা -বেচা হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর লিচু মৌসুমের শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বেশ কয়েক বার কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এসব ঝড়ে লিচু ঝড়ে পড়ে এবং অনেক গাছের ডালপালা ভেঙে যায়।
এবছর লিচুর ভরা মৌসুমে চলছে পবিত্র মাহে রমজান। সে কারণে দিনের বেলায় লিচু খাওয়া ও অসম্ভব। নানা কারণে এবছর লিচুর দামও অনেক কম। একদিকে কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। অপরদিকে লিচুর বাজার মূল্যও অন্য বছরের তুলনায় খুবই কম। লিচু ভাঙার শ্রমিকের মূল্যও অনেক বেশি। অন্য দিকে একই সাথে চলছে ধান কাটার সময়। ধান কাটার জন্য দিনমজুর ও পাওয়া যাচ্ছেনা। মাহে রমজান, ধানকাটা ও লিচু ভাঙার মৌসুম একই সাথে হওয়ায় শ্রমিক সংকটে ভুগছেন চাষিরা। উপরন্তু লিচুর দামও কমে যাওয়ার কারণে লিচু চাষী ও বেপারীরা পড়েছেন মহাবিপাকে।
দূর্গাপুর ইউনিয়নের বাড়ৈগাঁও গ্রামের বিশিষ্ট লিচু চাষী রোবেল মাহমুদ বিশাল এই প্রতিবেদককে জানান, এবার সবচেয়ে ভালো লিচু হাজার প্রতি ১৬ থেকে ১৮ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সর্বোচ্চ দাম ২ হাজার টাকা। মধ্য মানের লিচু ১৩- ১৪ শত টাকা এবং সাধারণ মানের লিচু একহাজার থেকে বারো শত টাকা হাজার প্রতি বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক কম বলেও বিশাল জানান।