কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চাল-কল মালিকেরা চালের সরকারি বরাদ্দ নিয়ে স্থানীয়ভাবে চাল তৈরি না করে এলাকার বাইরে থেকে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগা, সান্তাহারসহ বিভিন্ন যায়গা থেকে চাল সংগ্রহ করে বরাদ্দ পূরণ করছে। ফলে চিলমারীতে ধানের দামই শুধু কম নয় পর্যাপ্ত গ্রাহকও নেই ধানের বাজারে। গত রোববার উপজেলার প্রধান বাজার থানাহাট বাজারে কৃষক আইয়ুব আলী হিরা-২ জাতের মোটা ধান ৩৬০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেন। কৃষক করিম উদ্দিন বিআর ২৮ ধান ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করেন। পর্যাপ্ত গ্রাহক না থাকায় অনেকেই ধান বিক্রি করতে না পারায় ফেরৎ নিয়ে গেছে। আইয়ুব আলী জানান, ধান কাঁটা চুক্তি দেয়া ছাড়া কোন শ্রমিক পাওয়া যায় না। একজন শ্রমিকের প্রতিদিনের মজুরী ৩৫০ টাকা। চু্িক্তর কাজ করে একজন শ্রমিক প্রতিদিন আয় করে ৬০০-৭০০ টাকা। ২মণ ধান বিক্রি করে একজন শ্রমিকের মজুরী হয়। চলতি ইরি বোরো মৌসুমে এ উপজেলার জন্য ধান ১৮৮ মে.টন ও চাল ১০৮৫ মে.টন ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। উপজেলার এবারে ৬৮০৪ হেঃ জমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হয়। ফলনও অনেক ভাল হয়েছে। কৃষক সাজু মিয়া জানান, চাল কল মালিকেরা বরাদ্দের সবগুলো চাল স্থানীয়ভাবে ধান ক্রয় করে তৈরি করলে কৃষকদেরকে ধান বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হত না। অপর দিকে উপজেলা খাদ্য কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে উপযোগী অনুপযোগী চাল কলের মালিক কে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এমনকি মিল-চাতাল নির্মাণাধীন ব্যবসায়ী মোঃ আমিনুল ইসলাম মোকসেদ চাল কল জুম্মা পাড়া, চিলমারী, কুড়িগ্রাম নামে ২৩.৪০০ মে.টন চাল সরবরাহের বরাদ্দ গ্রহণ করে। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এসকে আব্দুল্যাহ জানান, আমি মাত্র কয়েকদিন পূর্বে অতিরিক্তি দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।