লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাসের ঘটনা ২৪ ঘন্টা পর
গুঞ্জন না হয়ে সত্তি হলো। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ কেন্দ্র থেকে সোলায়মানের কাছে থাকা ব্যবহৃত মোবাইলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্র্শ্ন ফাঁস হয়েছে বিক্রয়ের অভিযোগ ছিল লক্ষ্মীপুর-পলিটেকনিক-ইন্সটিউট নিকট কয়েকজন যুবক প্রশ্নবিক্রয়ের সিন্ডিকেট চক্র করে ৪ লক্ষ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। প্রথম ধাপে রাতে কেই এ বিষয়টি গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিলেও আবার যারা সত্তি ভেবে ক্রয় করেছিলেন তারা বিষয়টি ১০০% মিল পেয়েছেন ক্রয় করা অনেক পরীক্ষার্থীই। ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই সকাল ৯ টার মধ্যে কেন্দ্রের সামনে উত্তরসহ বিক্রি করেছিলেন কেউ কেউ। খবর পেয়ে গোয়েন্দা বাহিনী সকাল ১০ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে হুবাহু মিল পান বলে লক্ষ্মীপুর জেলা এন এস আই কর্তৃক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানান,আটককৃত সোলায়মান প্রশ্নপত্র ফাসের কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা প্রশাসন বেলা ১১ টার দিকে তার মোবাইল ফোনসহ চেকসহ করা হলে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের আলামত পাওয়া যায়। পরে তিনি বলেন,২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র মোবাইলে পাঠিয়েছে জাহিদ নামে তার এক সহযোগির কাছ থেকে নিয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে রাজি নয় সে। আটকৃত সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের আবদুল করিমের ছেলে।
এদিকে পরীক্ষার পূর্বেই প্রশ্ন ফাঁস এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে পরীক্ষা বাতিলের দাবী জানিয়েছেন অবিভাবকসহ পরীক্ষার্থীদের অনেকেই। বিষয়টি টেলিভিশোনের স্কলে দেখা গেলে জেলা প্রশাসক দুপুরে লক্ষ্মীপুর-পলিটেকনিক-ইন্সটিউট গেস্ট্র টিসার রেজাউল করিম জেনিসহ ওই প্রতিষ্ঠানের টিসার সোবহান স্যার,আলমগীর স্যারকে ডেকে জিগাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেন।
রেজাউল করিম জেনি জানান,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় তারও ডিউটি ছিল। তবে তিনি করেন নাই। এমনকি পরীক্ষা চলাকালে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এ জন্য জেলা প্রশাসক তাকে সন্দেহ করে ডেকে ছিল। তবে কিছুই পাইনি তার ব্যাপারে এ জন্য পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চলে এসেছেন।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, সোলায়মান নামে এক পরীক্ষার্থীকে ফোনসহ চেকসহ করা হলে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের আলামত পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করা হয়। কিভাবে তার ব্যবহত মোবাইলে প্রশ্ন আসলে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে।