সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ সদর ধানগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সুষ্ঠুভাবে ভোট গণনা শেষে রেজাল্ট দেয়ার পূর্ব মূহুর্তে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। একাধিক বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, মোঃ জাকির হোসেন দুলাল ৬৮ ভোট পেয়ে সভাপতি এবং ১২০ ভোট পেয়ে মোঃ রুস্তম আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গত শনিবার বেলা ১২টার দিকে রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রথম পর্বের জমজমাট কাউন্সিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এমপি অধ্যাপক ডাঃ আবদুল আজিজ। ধানগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ আবদুল হান্নান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাদি আলমাজি জিন্নাহ, সহ-সভাপতি আলহাজ¦ রহমত আলী, ছাইদুল ইসলাম চান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শরিফ উল আলম শরিফ, মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাচ্চু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে. এম শফিকুল ইসলাম ঝন্টু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হৃদয় প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে ব্যালটের মাধ্যমে গোপন ভোটে স্বতঃস্ফুর্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ভোট গণনা এবং রেজাল্ট শিট তৈরি করে ফলাফল ঘোষণা করার সময় একজন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাধারণ সম্পাদকের একাংশের ব্যালট নিয়ে পালিয়ে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রগুলি জানায়, সভাপতি পদে জাকির হোসেন দুলাল ৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন মোঃ আবদুল হামিদ ৬৬ ভোট, বেলাল হোসেন ৪৮ ভোট, আবদুল কাদের ২৮ ভোট ও দেলোয়ার হোসেন ১৯ ভোট পান এবং ৪টি ভোট নষ্ট হয় এই মোট ২৩৩ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ রুস্তম আলী ১২০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রার্থী মীর ওবায়দুল ইসলাম মাসুম পান ১১২ ভোট, ১টি ভোট নষ্ট হয়। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, প্রতিদ্বন্দ্বি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ওবায়দুল ইসলাম মাসুম যাচাই করার কথা বলে অপর প্রার্থীর ব্যালট হাতে নিয়ে নির্বাচন মানিনা বলে বের হয়ে যান। পরে হট্টগোল হওয়ায় ওবায়দুল ইসলামের নিকট রক্ষিত ব্যালটসহ অন্যান্য ব্যালটগুলো রায়গঞ্জ থানা পুলিশের নিকট সিলগালা করে জমা রাখা হয় বলে থানার ওসি পঞ্চনন্দ সরকার নিশ্চিত করেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মীর ওবায়দুল ইসলাম মাসুম বলেন, ভোট গণনা ঠিক হয়নি, পুনঃরায় সঠিকভাবে ভোট গণনা করলে আমি নির্বাচিত হব।