রংপুর কারমাইকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এনামুল হক কলেজ বন্ধ থাকায় ঈদের আগে গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জে গিয়েছিল। কিন্তু সেপটি ট্যাংক থেকে প্রতিবেশি একজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে এই শিক্ষার্থী। এ সময় প্রতিবেশি দুলু মিয়াও মারা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৯টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানাগেছে, সোমবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বড়ঘোলা গ্রামের ব্যবসায়ী দুলু মিয়ার মোবাইল ফোনটি সেপটি ট্যাংকে পড়ে যায়। ফোনটি উদ্ধার করতে একটি বাঁশ বেয়ে সেপটি ট্যাংকে নামে দুলু মিয়া। বেশ কিছুক্ষণ পরে দুলু মিয়ার কোন সারা না পাওয়ায় তাকে উদ্ধার করার জন্য কলেজ ছাত্র এনামুল হকও সেপটি ট্যাংকে নামে। বেশ কিছুক্ষণ পরেও দুজনের উপরে উঠে না আসা শাহিন নামে আরেক যুবক সেখানে নামেন। সেও উঠে না এলে এলাকার লোকজন ফায়ার সাভির্সে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাদের উদ্ধার করেন। এরমধ্যে কলেজছাত্র এনামুল হক সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসকষ্টে মারা যায়। দুলু মিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। অপরজন শাহিন মিয়াকে পীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এনামুল হক উপজেলার রামনাথ পুর ইউনিয়নের আজহার আলীর পুত্র এবং দুলু মিয়া একই গ্রামের ময়েস আলীর পুত্র।
পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নুরুল ইসলাম জানান, আমরা যাওয়ার আগেই এনামুল হকের লাশ এলাকাবাসী উদ্ধার করে। দুলু মিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়।