রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নে এক সপ্তাহের ব্যবধানে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও অপহরণের স্বীকার হয়েছে। মোহনপুর থানায় ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই স্কুলছাত্রী উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করেছে পুলিশ।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৌগাছি পশ্চিমপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ (১৯) একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) দীর্ঘ এক বছর ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ৭ জুন রাত ৮টার সময় বিয়ের প্রভোলন দিয়ে আকাশ স্কুলছাত্রীকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বিয়ে না করেই স্কুলছাত্রীকে রাতে মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ ধর্ষণ করে। বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ধর্ষক আকাশসহ তার পরিবারের লোকজন মিলে স্কুলছাত্রীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মামলা না করার জন্য স্কুলছাত্রীসহ তার পরিবারকে হুমকি প্রদান করে। সোমবার রাতে স্কুলছাত্রীর মা বাদি থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ আসামি মোস্তাফিজুর রহমান আকাশকে গ্রেফতার করে।
অপরদিকে গত ২ জুন স্কুলছাত্রী রাত ৮ টার সময় তার চাচা বাড়িতে যাওয়ার পথে পাশের ইলামতপুর গ্রামের আনছার আলীর বিবাহিত ছেলে রায়হান আলী (২৫) বজরপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়-য়া কন্যা (১৫) অপহরণ করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে তার বাড়িতে সোমবার সন্ধার সময় বিষয়টি মিমাংসার লক্ষে শালিশি বৈঠক চলছিল। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোরর্শেদ আলম থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামি রায়হান আলীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে রায়হান আলীকে আসামি করে থানায় অপহরণে মামলা দায়ের করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মোহনপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, দুই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আসামিদেকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।