সুনামগঞ্জ শহরে আল-মামুন মার্কেট, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সুনামগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পাসপোর্ট আবেদন ফরম ও ছবি বিভিন্ন কাউন্সিলর/ প্রভাষক/ সরকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতির বিষয়টি আবেদনকারীদের মাধ্যমে সনাক্ত করার বিরুদ্ধে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেন বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ। মঙ্গলবার দুপুর একটা হতে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনাকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হারুন-অর-রশীদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভীন রুহি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এর সহকারী পরিচালক অর্জুন কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অভিযান পরিচালনাকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে পাসপোর্ট গ্রহণের জন্যে আগত আবেদনকারীরেদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এছাড়া ভুক্তভোগী আবেদনকারিগণ জিজ্ঞাসাবাদকালে জানান যে প্রতিটি ফরম পূরণ করা, সত্যয়ন করা, পাসপোর্ট আবেদনের ফি বাবদ ৩ হাজার ৪শ পঞ্চাশ টাকা নির্ধারিত ফি’র পরিবর্তে স্থলে ৫ হাজার ৫শ থেকে ৬হাজার টাকা নেয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে ট্রাভেল এজেন্সি কর্তৃক গৃহীত অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য আল মামুন মার্কেটে অবস্থিত আল সামন এন্ট্রাইপ্রাজ, রাহিদ ট্রেভলসসহ ৬টি দোকান সীলগালা করা সহ ভূয়া নামাঙ্খীত সীল ব্যবহারকারী ১৭ জনের আবেদন পর্যালোচনা পূর্বক আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ সময়ে ভূয়া নাম স্বাক্ষর দিয়ে যেন ছবি সত্যয়ন না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।