দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে স্কয়ার ও রেনেটা কোম্পানির ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন হাসপাতালের চিকিৎসকদের এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংগঠন ফারিয়ার একাধিক সদস্যরা।
সূত্রমতে, শেবাচিমের পরিচালক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কোপানোর নির্দেশ দেয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে স্কয়ার কোম্পানির প্রতিনিধি মোঃ মেজবা উদ্দিন ও ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের (ফারিয়া) বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি রেনেটার জোনাল ম্যানেজার শহীদ হোসেন মুন্না বক্তব্য প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন হাসপাতালের আন্তবিভাগ ও বহির্বিভাগের চিকিৎসকদের ডেকে স্কয়ার ও রেনেটার ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে নিষেধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দুই কোম্পানির প্রতিনিধি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে দেখা করতে গেলে তাদের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন-উপরের নির্দেশ আছে, স্কয়ার ও রেনেটার ওষুধ লেখা যাবেনা। এর আগে সোমবার সকালে স্কয়ার কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মেজবা উদ্দিনকে হাসপাতালের প্রধান ফটকে লাঞ্ছিত করেছেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মোঃ মামুন। বিষয়টি শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেনের কাছে অভিযোগ দেন ফারিয়া সংগঠনের নেতারা। কিন্তু হাসপাতালের পরিচালক অভিযুক্ত কর্মচারীর পক্ষ নিয়ে উল্টো রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংগঠন ফারিয়ার নেতাদের হুমকি প্রদান করেন। একই সাথে হাসপাতালের পরিচালক অভিযুক্ত কর্মচারী মামুনকে নির্দেশ দেন এরপর থেকে রিপ্রেজেন্টেটিভদের শুধু লাঞ্ছিত নয়, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে হবে।
ফারিয়ার একাধিক সদস্যরা জানান, রমজান মাসের শেষ সপ্তাহে হাসপাতালের প্রায় দেড় হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ইফতার করানোর জন্য তাদের কাছে আবদার করেছিলেন শেবাচিমের পরিচালক। ফারিয়ার নেতারা এই আবদার প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে হাসপাতালের পরিচালক কর্মচারীদের দিয়ে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হয়রানি করে আসছেন।