চবড়ঢ়ষব'ং ঠড়রপব অসঃধষর- (আমতলীর নাগরিক কন্ঠ)চঠঅ'র উদ্যোগ এবং আমতলী পৌরসভার মেয়র মো মতিয়ার রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় চালু হওয়ার ৪ মাসের মধ্যে অজ্ঞাত কারণে আবার বন্ধ হয়ে গেছে আমতলীর ঐতিহ্যবাহী নুরজাহান ক্লাব। নতুন প্রজম্মের কাছে এটি ছিল একেবারেই অপরিচিত। সাইনবোর্ড না থাকায় চেনারও উপায় ছিল না।
ছিল না কোন কার্যক্রম। ঘরটিও ভাংগা চুরা।অথচ একসময় এই ক্লাবটিকে ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে আমতলীর সকল সামাজিক- সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। বিকশিত হয়েছিল আমতলীর সাংস্কৃতিক অঙ্গন। ৪০ এর দশকের মাঝা মাঝি সময়ে আমতলী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন মোবারক আলী ভুইয়া। অত্যন্ত সংস্কৃতি মনা এই পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের উৎসাহে ১৯৪৬ সনে আমতলী শহরের প্রাণকেন্দ্রে তার স্ত্রী নুরজাহান বেগমের নামে প্রতিষ্ঠা করেন নুরজাহান ক্লাব। তখন থেকে থানার পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্থানীয় উদ্যোগে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিল ক্লাবটি।।১৯৯৮ সনে তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব
সালাউদ্দিন ইউসুফ তার শ্বাশুরীর নামে প্রতিষ্ঠিত এ ক্লাবটি পরিদর্শন করেন এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেন।আমতলীর পৌরসভার বর্তমান মেয়রের নেতৃত্বে ক্লাবটি পুরোদমে চালু হলেও বিগত প্রায় ২০
বছর ধরে কোন পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় আমতলীর ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছিল। গত একুশে ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ সামনে রেখে পিভিএ নুরজাহান ক্লাব চালুর দাবী করলে আমতলী পৌরসভার মেয়র মো.মতিয়ার রহমান ১৯ ফেব্রুয়ারী,২০১৮ ক্লাবটি চালু করেন
এবং একুশের মহড়া থেকে শুরু করে প্রভাতফেরী শুরু হয় এই ক্লাবের সামনে থেকেই। জম জমাট হয়ে উঠে নুরজাহান ক্লাব। এগিয়ে আসেন আমতলী থানার তৎকালীন কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. শহিদুল্লাহ। নতুন সাইনবোর্ড লাগানো হয়। শুরু হয় কেরাম ও দাবা খেলা। বরীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তি পালনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমান তালে চলতে থাকে যুবকদের আড্ডা। কিন্তু হঠাৎ করে গত বছর ঈদের আগের দিন অজ্ঞাত কারণে ক্লাবটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
ক্লাবটি পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত বিধায় ক্লাবটি চালু করার ব্যাপারে পুলিশ সুপারসহ আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র আমতলী পৌরসভা, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আমতলী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি পিভিএ'র কাছে অনুরোধ করব ক্লাবটি পুনরায় চালুর ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার।ক্লাবটি চালু হলে সুস্থ চিত্ত বিনোদন,শিল্প-সংস্কৃতির চর্চাসহ ছাত্র- যুব সমাজের সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে সুযোগ তৈরী হবে।