লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর মনসা উচ্চ বিদ্রারযের ১০ শ্রেনীর ছাত্রী লিমা আক্তারের (১৬) এর বাল্যবিয়ে ঠেকাতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। লিখিত মুচলিকা দেওয়ার পরেই বুধবার সন্ধ্যায় জাঁকজমক ভাবে ছাত্রীর লিমার বিয়ের কাজ পরিবার সর্ম্পন করায় বৃহস্পতিবার উপজেলা চেয়ারম্যান কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সুত্রে জানায়, দক্ষিন চাঙ্গিরগাও গ্রামের শান্তি ঠাকুর বাড়ির লিটন খানের মেয়ে চন্ডিপুর মনসা উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্রী লিমা আক্তারের সাথে রামগঞ্জ পৌরসভাধীন কাদের নামের একটি ছেলের সাথে বুধবার পারিবারিকভাবে বিয়ের কাজ শুরু হয়। খবর পেয়ে উপজেলা মহিলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার শিউলীর জোর তৎপতায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ের কাজ বন্ধ রেখে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের উপজেলা পরিষদে ডেকে এনে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ৩শত টাকার স্ট্যাম্পে প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে লিখিত মুচলিকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ সমং চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়া এবং চাঙ্গিরগাও ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার ইব্রাহিম মিয়া,গ্রাম পুলিশসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলো। লিখিত মুচলিকা দিয়ে বাড়ি ফিরে অদৃশ্য ব্যক্তির ইশারা ছাত্রীর পরিবার জাঁক জমক ভাবে বিয়ের কাজ সর্ম্পন করে। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার শিউলী জানান,প্রশাসনের কাছে লিখিত মুচলিকা দেওয়ার পর বিয়ের কাজ সম্পূর্ন করায় আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মর্কতা রিফাত আরা সুমি বলেন,চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূইয়া,ওয়ার্ড মেম্বার ইব্রাহিম মিয়ার উপস্থিতে ছাত্রীর জেঠা আবুল হাসেম লিখিত মুচলিকা দিয়ে বাড়ি ফিরে বিয়ের কাজ সর্ম্পন করার বিষয়টি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। যেই কোন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ভূল বুঝিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, পাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত লিমার বিয়ে হবে মর্মে অবভাবক অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। কিন্তু এর পরেও যদি তারা বিয়ে কাজ সম্পন্ন করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।