কালীগঞ্জে মাদকাসক্তদের হাতে মার খেয়ে আত্মহত্যা করেছে মুরাদ নামের এক রিক্সা চালক। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ তহমিনা নামের এক গৃহবধুকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করেছে। অপরদিকে কালীগঞ্জ থানায় বুধবার রাতে মামলা দয়ের হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকালে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ মর্গে পাঠায়। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ পৌর সভার আড়পাড়ার নদীপাড়ায়। নিহত মুরাদ ওই এলাকার ইদ্রিস মাতব্বরের ছেলে।
কালীগঞ্জ থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানায়, মঙ্গলবার রাতে পাশর্^বর্তী আড়পাড়ায় চিকার করছিল এবং মাদকাসক্ত মামুন হোসেনসহ কয়েকজন যুবক মুরাদের ভাড়া বাড়িতে ইয়াবা সেবন করছিল। বেশ কিছুদিন ধোরে তারা মুরাদের বাড়িতে মাদক সেবন করে আসছিল। তারা এ ব্যাপারে থানা পুলিশ কে অনেকবার জানিয়েছে কিন্তু পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়নি। যে কারণে মাদক সেবন কারিদের হাতে একজনের মৃত্যুহল। বুধবার রাতে রিকসা চালক মুরাদ তাদের মাদক সেবনে বাধা দিলে তারা জোটবদ্ধ হয়ে মুরাদকে মারধর করে। কিন্তু পুলিশ অদ্যাবধি মাদক সেবন কারিদের কাউকে বা যারা মুরাদ কে মারপিট করেছে তাদের কে আটক করতে পারেনি।
মাদকাসক্তদের হাতে মার খেয়ে অপমান ক্ষোভে রাতেই মুরাদ নিজ ঘরের ফ্যানে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মাদক সেবনে সহযোগীতাকারী তহমিনা নামের এক স্বামী পরিতাক্ত মহিলাকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এদিকে পুলিশ বলছে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল, কিন্তু বিষয়টি ভিন্ন ভাতে প্রবাহিত করার জন্য পুলিশ প্রচার করছে সে আতœহত্যা করেছে। বিষয়টি এমন ও হতে পারে মাদক সেবন কারি ও মুরাদ কে যাবা ,মারপিট করেছে হয়ঢতো তাদের হাতে হত্যা হয়েছে। তারাই মুরাদের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। এলাকায় াখেন প্রচার হচ্ছে মুরাদ আতœহত্যা করেনি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মুরাদের লাশ উদ্ধার করে। তিনি স্বীকার করে বলেন, গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেও তার গায়ে আঘাতের চিহৃ ছিল।