পঞ্চগড়ে মাদক বিক্রেতার শাস্তির দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সদর উপজেলা ১ নং ইউনিয়নের মোলানী পাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মোলানীপাড়া জাগ্রত যুব কল্যাণ সংগঠনের সদস্যরা একত্রিত হয়ে মাদকদ্রব্য বন্ধে সামাজিক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। ঐ এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা আ: সালাম ওরফে কসাই সালাম দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ফেনসিডিল বিক্রি করে আসছে। একাধিকবার জেল জরিমানার পরও সালাম বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কসাই সালাম পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের মোলানীপাড়া এলাকার মৃত. মছির উদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদকসেবীরা মোটরবাইক যোগে সালামের বাড়িতে গেলে তাদের বাধা দেয় স্থানীয় যুবকরা। বিকেল থেকে একাধিক মাদক সেবীকে ফিরিয়ে দেওয়ায় সালাম ও তার ছেলে জুয়েল (২২) ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে রাত ৯ টায় সালামের ছেলে স্থানীয় যুবক রাসেলের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। রাসেল মোলানীপাড়া এলাকার মো: বাবুল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে সে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় যুবকরা জানায়, হামলার প্রায় আধঘন্টা পরে পঞ্চগড় সদর থানার এসআই জাহিদ ও এএসআই জুয়েল ঘটনাস্থলে আসেন। তারা যুবকদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ প্রদান করে চলে যান। এক প্রশ্নের জবাবে এএসআই জুয়েল বলেন, অভিযোগ ছাড়া সালামকে আটক করা যাবে না। পুলিশের রহস্যজনক ভ’মিকায় এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল ১০ টায় মোলানীপাড়া মাদ্রাসা মাঠে মাদক বিরোধী সমাবেশ করেন স্থানীয়রা। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজালাল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো: মোশারফ হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য পায়ম উদ্দীন, মো: জামাল উদ্দীন, মো: ভুমিজ উদ্দীনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে যে কোন মূল্যে ফেনসিডিল বিক্রেতা সালাম কসাইয়ের শাস্তি ও মাদক ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে স্থানীয়দের পাশপাশি প্রশাসনের আন্তরিকতা কামনা করেন বক্তারা।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আক্কাছ আলী মুঠোফোনে বলেন, মাদকদ্রব্য নির্মূলে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদকের সাথে কারোই আপোষ করা যাবে না। মাদক আপনার ছেলেও খাইতে পারে, আমার ছেলেও খাইতে পারে, তখন টাকা রোজগার করে কিছুই হবে না। এদের একাধিকবার আটক করা হলেও ৩ মাস ৪ মাস পর জামিন পেয়ে যায়। জামিনে এসে আবার ব্যবসা শুরু করে তারা। তিনি আরও বলেন, ঐ এলাকার লোকজন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ পোষন করেছে বলে আমি জেনেছি। পুলিশ কী চায় মাদক ব্যবসা চলুক। এলাকাবাসী সহযোগিতা করলে মাদক ব্যবসা বন্ধে কার্যকর ভ’মিকা পালন করবে পুলিশ।