আষাঢ়ের প্রথমদিন শনিবার সকালেও ছিলো প্রচন্ড গরম। তবে বেলা এগারোটার দিক থেকেই বরিশালের আকাশজুড়ে মেঘের আনাগোনা বেড়ে যায়। দুপুর একটার দিকে বরিশালে শুরু হয় বহুল কাঙ্খিত স্বত্তির বৃষ্টি। আষাঢ়ের প্রথমদিনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মুষলধারের এই বৃষ্টিতে গোটা বরিশালবাসীর মধ্যে নেমে এসেছে স্বস্তি।
নগরীজুড়ে বৃষ্টি চলাকালীন সময় তরুন-তরুনী, যুবক-যুবতীসহ প্রায় সকল বয়সের নারী-পুরুষকে দেখা গেছে কেউ কেউ রিকসাযোগে, কেউ মোটরসাইকেলে আবার কেউ পায়ে হেঁটে প্রচন্ড গরম থেকে স্বত্তি পেতে বৃষ্টির সাধ গ্রহণ করছেন। বিএম কলেজের ছাত্রী জেসিকা আহম্মেদ জুঁই বলেন, দীর্ঘদিন পর আষাঢ়ের প্রথমদিনেই বরিশালে স্বত্তির বৃষ্টি নেমেছে। তাই বৃষ্টির সাধ গ্রহণ করতে পুরো বৃষ্টি চলাকালীন সময় তারা বান্ধবীরা মিলে রিকসাযোগে নগরী ঘুরেছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ অতিক্রম করে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে (দুইদিন) বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের অবশিষ্ঠাংশে বিস্তার লাভ করতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থা : বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।