মুন্সীগঞ্জের” উপজেলা শ্রীনগরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ইভটিজাদের ছাড়িয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। হাঁসাড়া ইউনিয়নের আলমপুর হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ইভটিজিং করার সময় বিদ্যালয়ের ছাত্র ইসতিয়াক আহমেদ প্রতিবাদ করলে-৮-১০ জন বখাটে মিলে ওই ছাত্রের ওপর চরাও হয়ে চর থাপ্পর দিয়ে, আহত করে। এক প্রর্যায়ে আক্রমণের স্বীকার ছাত্রকে বাচাতে একই গ্রামের ডাঃ আলমাছ ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ সেলিম, শিক্ষক খান মোহাম্মদ মঞ্জুর সহ মিমাংসা করার চেষ্ঠাকরলে। রাজন ফয়সাল, রবিউল, আমিনুল ইসলাম মিঠু সহ ৮-১০ জন বখাটে দের হামলায় আহত হন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্কুলের ছাত্ররা এসে ইভটিজারদের আটক করে। কিছু সময় পর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে। পুলিশের উপস্থিতিতে হাঁসাড়া ৮নং ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও ৩নং ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মিলে ” পুলিশের কাছ থেকে বখাটেদের ছাড়িয়ে রাখেন বলে এলাকায় অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তা হয়নি। এনিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাঁসাড়া গ্রামের কয়েকজন বখাটে আলমপুর হোসেন আলী উচ্চবিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এসে আড্ডা করেন কিছু সময় পরে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আজেবাজে মন্তব্য করে। ওই বিদ্যালয়ের পরোয়া ইসতিয়াক প্রতিবাদ করলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে। তার ওপর হামলা চালায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ লাভলু মোড়ল এ প্রতিবেদক কে বলেন, বখাটেরা মাঝে মধ্যেই এখানে আড্ডা দেয়। ইভটিজিংয়ের স্বীকার ছাত্রীরা অনেক সময় মোখ লজ্জায় কাউকে বলতে চায়না। তিনি আরো বলেন গত কাল এ ঘটনার পড় এখানে শ্রীনগর থানার এসআই পরিমল এসে ঘটনাস্থলে খোঁজ খবর নিয়েছেন। হাঁসাড়া গ্রামের আশাদুল ইসলাম ও তোফায়েল আহমেদ বলেন, এর আগেও একাধিকবার ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। আমরা নিজেরা ও এলাকাবাসী মিলে ওই সময়ে, বিনা প্রয়োজনে বিদ্যালয় এর আসে পাশে কোন আড্ডা না দেয়ার জন্য এলাকায় মাইকিং ও পোষ্টারিং করা হয়েছে। তার পরেও হাঁসাড়ার কিছু বখাটে এখানে আড্ডা দেয়। এদিকে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আলমপুর হোসেন আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক জনকে গন্ডগল না করার জন্য থামিয়েছি। পুলিশ আসার পরে আমার কাছে জানতে চাইলে আইনের দৃষ্টিতে যা করনীয় সে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি। ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আলাপ করে রাজন ও আমিনুল ইসলাম মিঠুকে নিজের জিম্মায় নিয়ে আসি। ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বলেন, নজরুল মেম্বার সালিশ মিমাংসার কথা বলার কারণে আমরা বিকল্প কোন চিন্তা করিনি। শ্রীনগর থানার এসআই পরিমলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই দিন ছাত্রদের সাথে বহিরাগতদের মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। যদি অভিযোগ দায়ের করা হয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বলে এসেছি।