গাইবান্ধার গোলাপবাগ খাদ্য গুদামে চাল নিয়ে চালবাজী, জনগনের তোপের মূখে উপজেলা প্রশাসনের গুদাম পরির্দশন অবশেষে সব ঠিকঠাক, চাল নিয়ে চালবাজী।
জানা গেছে,গত রবিবার দিবাগত রাত ২টায় দিকে গোবিন্দগঞ্জ (গোলাপবাগ) খাদ্যগুদামে নি¤œমানের দুই ট্রাক চাল প্রবেশ করেছে মর্মে কতিপয় লোকজনের সন্দেহ হলে বিষয়টি নিয়ে বেশ হৈচৈ শুরু হয় এবং এ ঘটনা এলাকায় জানা জানি হলে মূর্হুতে গুদাম চত্ত্বরে শতাধিক জনতার ভিড় জমে। খবর পেয়ে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন ও পুলিশের একটি দল গুদাম পরির্দশন করেন এবং সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে গুদামে গভীর রাতে প্রবেশকৃত দুই ট্রাক নি¤œমানের চালের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট গুদাম কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চালের মান যাচাই করেন। পর দিন সোমবার দিনভর চাল নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, চালের ট্রাক দুটি’র কাগজপত্র ও চালের মান যাচাই করে মানসন্মত বলে তিনি জানিয়েছে।
এ দিকে অভিযোগ উঠেছে, মিল ও চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু প্রধান একজন প্রভাশালী হওয়ায় খাদ্যগুদামে দেওয়ার পরও তিনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ও ওসিএলএসডি’র যোগসাজসে অতিরিক্ত গুদামে চাল দেওয়ার জন্যই গভীর রাতে চাল বোঝাই ট্রাক ২টি প্রবেশ করেছে।
মিল ও চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু প্রধান এর নামে চাল বরাদ্দ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল আহাদ ও ওসিএলএসডি’র নিকট জানতে চাইলে নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
মিল ও চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু প্রধানের সাথে একাধিক বার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার নিকটতম এক কর্মচারী জানিয়েছেন, বাবলু প্রধান উপজেলা মিল ও চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি হওয়ার পর থেকে কতিপয় মিল মালিক (ব্যবসায়ী) তাকে নানাভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই চাল নিয়ে চালবাজী চালিয়েছে।
ইতিপূর্বে গোবিন্দগঞ্জ খাদ্য গুদামের একাধিক কেলেঙ্কারীর ঘটনায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ায় সচেতন মহলের দাবি দ্রুত গুদামে রক্ষিত চালগুলোর মধ্যে আদৌ কোনো নি¤œমানের চাল আছে কিনা তা দেখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।