রংপুরের পীরগঞ্জে গৃহবধু দীপালি রাণীর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বড়দরগাহ ইউনিয়নের ঢোড়াকান্দর গ্রামের গৃহবধু দীপালী গত ২৯ জুন তার স্বামীর কর্মস্থল ঢাকার জিরানী বাজারে বেড়াতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢোড়াকান্দরে ফিরে এসে মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে। পুলিশ, গ্রামবাসী ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঢোড়াকান্দর গ্রামের শ্রী কুমোদ চর্ন্দের পুত্র শ্রী শিপন চন্দ্রের সাথে গত ২০০৮ ইং সনে ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে দীপালী রানীর সাথে ঢাকার জিরানীবাজারের গার্মেন্টস নর্দান ফ্যাশানে গার্মেন্টকর্মী থাকাকালে উভয়ের মধ্যে পরিচয় প্রনয় ও বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তানও আসে। ফলে স্বামী শিপণ স্ত্রী দীপালীকে পৈতৃক বাড়ি ঢোড়াকান্দর গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে স্বামী শিপন প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই গোপনে পাশর্^বর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার বৈরাতী এলাকার যুথি নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে ঢাকায় অবস্থান করতে থাকে। এ সংবাদ পেয়ে প্রথম স্ত্রী দীপালী গত ২৪ জুন ঢাকার জিরানী বাজারে গিয়ে শিপনের বড় ভাইয়ের ভাড়াটে বাসায় গিয়ে ওঠে। খবর পেয়ে স্বামী শিপনও সেখানে গেলে দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর মধ্যেয় গত ২৯ জুন শনিবার গভীর রাতে দীপালী রহস্যজনকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। নিহতের পারিবারিক ভাবে দাবি করে বলা হয়েছে, দীপালী রানীর ওপর পরিকল্পিত ভাবে অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এরপর দীপালীকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে উল্টো মাইক্রোবাস যোগে পীরগঞ্জে আনার পথে সে মারা যায়। এছাড়াও গত শনিবার আহত দীপালীকে পীরগঞ্জে আনার পথে পুলিশ দীপালীর স্বামী শিপনকে আটকের পরদিন বিকেলে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি আরও বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক মন্ডল বলেন,ওই মৃত্যুটি নিয়ে ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। পীরগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ সরেস চন্দ্র বলেছেন- জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী শিপনকে থানায় আনা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় থানা থেকেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইউডি মামলার পর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।