নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার উত্তর মোহাম্মদপুর গ্রামে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মালেকা খাতুন (৬০) নিহতের ঘটনায় জড়িত মোঃ আলমগীর হোসেন (৪২) নামের এক সন্দেহবাজনকে আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাকৃত আলমগীর একই উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের সাবু মিয়ার ছেলে। বুধবার রাতে সেনবাগ থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকতা সৌরজিৎ বড়য়া সেনবাগ পৌর শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আলমগীর পেশায় একজন সিএনজি চালক ও বিরোধীয় সম্পত্তির একজন শালিশদার।
এরআগে গত (১৭ জুন) সোমবার সকালে বাড়ির জায়গা জমিন পরিমাপ করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে পাশ্ববর্তী বাড়ির খোকন মিয়া (৩০), মোঃ নুর আলম (৩৫), মোঃ এমাম হোসেন (৩৮), মোঃ বজল মিয়া (৬৭), মোঃ জাফর (৩৫) নেতৃত্বে অজ্ঞাত ৪/৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মালেক মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মালেকা খাতুন, তার মেয়ে শেফালী বেগম (৩৮), মেয়ে পান্না বেগম (৩২), নাতী মোঃ শাহাদাত হোসেন (১৯) ও সবুজ (৩২)কে ধালালো ছেনি,দা ,শাবল,লোহার রড় ও বাঁশের লাঠি দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এবং বাড়িঘ লুপটার ও নারীদের শ্লীলতাহানি করে।
এরপর গত শুক্রবার (২১ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় চিকিৎসার্ধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মালেকা খাতুন মারা যায়।
এঘটনায় নিহত মালেকা খাতুনের মেয়ে রোজিনা বেগম বাদি হয়ে সেনবাগ থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৫ তারিখ ১৮/৬/২০১৯ইং।
হত্যাকান্ডের পর থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আলমগীরকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে প্রেরণ করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
সেনবাগ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।