লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সুফির বাজারে শালিস বৈঠকে দুই পক্ষের হামলায় এক স্কুল শিক্ষকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। রোববার রাতে রামগতির সুফিয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারিরা একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। বাধাদিতে এসে হামলাকারীদেও মারধওে গুরুতর আহত রামগতি পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক সজিবুর রহমান, স্কুল শিক্ষক ইকবাল হোসেন, আকরাম হোসেন,মিজানুর রহমান ও মহিউদ্দিনকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও অন্যদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত মিজানুর রহমান হাসপাতালে জানান, সুফির বাজারে তাদেও দুইটি দোকান ঘর রয়েছে। ওই দোকানঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন তারা। ইতোমধ্যে আবদুর রব সুমন তার লোকজন ১ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। দাবীকৃত চাঁদার কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকী টাকা না দেয়ায় শুক্রবার রাতে দোকানের বিদ্যুৎতের মিটারের তার ছিড়ে দেয় আবদুর রব সুমন। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রোববার রাতে সুফির বাজারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। ওই শালিস বৈঠকের মধ্যে আবুল কাশেম, তার ছেলে আবদুর রব সুমনের নেতৃত্বে ৩০/৪০জনের একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১৭ জন আহত হয় বলে দাবী করেন তারা। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও জানান তারা।
তবে প্রতিপক্ষ আবুল কাশেম জানান, শালিস বৈঠক শুরু না হতে অতর্কিত হামলা চালানো হয় তাদের ওপর। এতে আবদুর রব সুমনসহ আহত হয় ৩জন।
শালিস বৈঠকে উপস্থিত চর আলগীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, দু-পক্ষকে নিয়ে শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। শালিস বৈঠক শুরু না হতে দু-পক্ষের মধ্যে হামলা,পাল্টা হামলা ও মারামারি শুরু হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়। তবে প্রথমে হামলা চালায় আবদুর রব সুমনের লোকজন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।