ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জনিত জ¦র সর্ম্পকে সচেতনতার জন্য বরিশাল নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জনিত জ¦রে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি প্রতিরোধের আহবান করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া স্বাস্থ্য বার্তার উপর গুরুত্বারোপ করে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের ওই বার্তায় বলা হয়েছে-ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জনিত জ¦র যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। সাধারন চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ¦র সেরে যায়। তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ¦র মারাত্মক হতে পারে। এডিস মশার বংশবৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ারোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে আরও বলেন, আপনার ঘর-বাড়ি এবং আশপাশে যেকোন পাত্র বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিনদিন পর পর ফেলে দিন। এর ফলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘঁষে পরিস্কার করতে হবে। ফুলের টব, প্লাষ্টিকের পাত্র, পরিত্যাক্ত টায়ার, প্লাষ্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা-নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারির শেল, পলিথিন-চিপসের প্যাকেট, ইত্যাদিতে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পারে। অপ্রয়োজনীয় অথবা পরিত্যাক্ত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে, যাতে পানি না জমে। দিনে এবং রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু মশা শরীরে খোলা জায়গায় কামড় দেয়, তাই যতদূর সম্ভব শরীর পোশাকে আবৃত থাকে এমন পোশাক পরা উচিৎ। বর্ষা মৌসুমে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই এ সময় অধিক সতর্ক থাকা প্রয়োজন। জনস্বার্থে বরিশাল নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে একাজে নিয়োজিত থাকা পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সহযোগিতা করার জন্যও মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সকলের প্রতি আহবান করেন।