বগুড়ার ধুনটের আলোচিত নানা-নাতনি ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি বকুল মন্ডলকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বথুয়াবাড়ী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলাসূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ছোট চিকাশি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য চপল মাহমুদের মেয়ে (১২) কৈয়াগাড়ি গ্রামে তার নানা রশিদ মন্ডলের বাড়িতে থেকে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে আসছিল। সেই সুবাদে একই গ্রামের অফের আলীর ছেলে বকুল মন্ডল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই ছাত্রী স্কুল থেকে নানার বাড়িতে ফিরে ঘরের ভিতর শরীরের পোশাক পরিবর্তন করছিল। এ সময় বকুল হোসেন ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে থাকলে তার নানা তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ওই ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধর্ষণ করে। এভাবে নানা তার নাতনিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে তার মা-বাবা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মেয়ের অন্তঃসত্তার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে মেয়ের মুখে ঘটনার বিতরণ শুনে তার বাবা চপল মাহমুদ বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রেমিক বকুল মন্ডল (২৫) ও ছাত্রীর নানা রশিদ মন্ডলকে (৬২) আসামি করা হয়। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২২ অক্টোবর ২০১৮ ধুনট থানার ওসিকে নির্দেশনা প্রদান করেন। মামলা দায়েরের পর গত ২৫ জানুয়ারী নানা রশিদ মন্ডলকে (৬২) পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও প্রেমিক বকুল মন্ডল পলাতক ছিল। এদিকে মামলা তদন্ত চলাকালীন সময়ে ওই স্কুলছাত্রী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারী একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। সন্তানের নাম রাখা হয়েছে আবদুল বারিক।
ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, ধর্ষণ মামলার অপর পালাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বগুড়ার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান বলেন, আলোচিত ধর্ষণ মামলার দুই আসামীকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হবে।