বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) এবং ব্যাচেলর অব সোসাল সায়েন্স (বিএসএস) ২০১৮ সালের পরীক্ষা শুক্রবার শুরু হয়েছে। চাটমোহর উপজেলার দুইটি পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষা। কেন্দ্র দুটি হলো চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও আটলংকা প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রী (অনার্স) কলেজ।
প্রশাসনের সহায়তায় নকলমুক্ত পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা গ্রহণের কথা বললেও চাটমোহরের এই দুটি কেন্দ্রে উন্মুক্তভাবে নকল চলছে। যা প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৯১ জন এবং প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে পরীক্ষার্থী ৩৩৭ জন। এই দুটি কেন্দ্রে অবাধে ও উন্মুক্তভাবে নকল করার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নেওয়া হয়েছে মর্মে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন। শুক্রবার পরীক্ষার প্রথম দিনেই ব্যাপক নকলবাািজর মধ্য দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উন্মুক্ত নকল প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন পরীক্ষার্থীরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদ্বয় নিশ্চুপ থেকেছেন। কারণ যারা পরীক্ষা দিচ্ছেন,তারা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি,সমাজপতি,জনপ্রতিনিধি,সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ মাহমুদ সরকার সঞ্জু জানান,পরীক্ষায় নকল হচ্ছে না। তিনি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন,কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আপনার কাছে নকলের অভিযোগ করেছেন। সকালের পরীক্ষার সময় শেষ,বিকেলে বিষয়টি দেখবো। প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের রিসোর্স সেন্টারের সহকারী ইন্সট্রাক্টর কল্যাণ কুমার সরকার বলেন,আমি তো কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শন করলাম। নকল প্রতিরোধে চেষ্টা করছি। তিনি এ প্রতিনিধিকে কেন্দ্র যাওয়ার অনুরোধ জানান। চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার জানান,তিনি ঢাকায় আছেন। তিনি এসি ল্যান্ডকে কেন্দ্র পাঠানোর কথা বলেন।