কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম, নিকলী, মিঠামইন ও ইটনায় গত তিন দিনে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী ভাঙ্গনে ঘর হারিয়েছেন কয়েকশ হাওড়বাসী। জানা যায়, সিলেট থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে ঘোড়াউত্রা, ধনুনদী, কালী নদীতে আফাল সৃষ্টি হওয়ার কারণে বে-কায়দায় আছেন নদীর পাড়ের হাজার হাজার গ্রামবাসী। গতকাল শুক্রবার সরেজমিন গেলে বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের প্রায় ২০-২৫টি ঘর নদীতে ভেঙ্গে চলে গেছে। তারা এখন আশ্রয়হীনভাবে বসবাস করছেন। এছাড়া গত দুই যুগ ধরে হাসানপুরসহ ৫/৬টি গ্রামে নদীর পাড়ের ৫-৬শত ঘর নদীতে বিলীন হওয়ার কারণে তারা জেলে পেশা ছেড়ে দিয়ে কেউ ঢাকা, চট্টগ্রাম অন্য পেশায় খুব কঠিন দিন পালন করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে নদীতে ঘর হারিয়ে দিঘীরপাড় ইউনিয়নের মুহাম্মদপুর এসে অনেকে রাস্তার পার্শ্বে সরকারি জায়গায় ঘর বেধে কোন রকম দিন যাপন করছেন। তাদের খবর কেউ রাখে না। অন্য দিকে নিকলী উপজেলার শিংপুর ইউনিয়নের শিংপুর উত্তর ও পুর্ব পাড়ায় অনেক ধনুনদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এই এলাকার মুসলমান ও হিন্দু জেলে পল্লীর লোকজন ঘর হারিয়ে হাহাকার করছেন। তারা আজও জানে না তাদের ঠাঁই কোথায় হবে? এদিকে একই উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের ছাতিরচর পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বের অদূরে নদী থেকে বালী উত্তোলনের কারণে গ্রামগুলো ভেঙ্গে মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাজিতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল ইসলাম জানান, ভাঙ্গন কবলিত নদীর পাড়ের গরীব লোকদের সরকারিভাবে সহায়তা করার প্রক্রিয়া রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।