বরগুনায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি রাব্বী আকনকে সাত দিন আর সন্দেহভাজন কামরুল হাসান সাইমুনকে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী শুক্রবার বিকালে এই আদেশ দেন।
গত ২৫ জুন জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাতকে (২৩) তার স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে আহত করে একদল লোক। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ড গত মঙ্গলবার কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
পরিদর্শক হুমায়ুন বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি রাব্বী আকনকে ১০ দিন আর সন্দেহভাজন আসামি কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ। আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে রাব্বীকে সাত দিন আর কামরুলকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
এর আগে কামরুলকে প্রথম দফায় পাঁচ দিন আর দ্বিতীয় দফায় তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তৃতীয় দফায় আবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হল।
বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের হাজারবিঘা গ্রামের কাওসার হোসেন লিটনের ছেলে কামরুলকে গত ৩ জুলাই পটুয়াখালী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আর বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায় বরগুনা শহর থেকে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাব্বীকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা থানার পুলিশ।
জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত রিফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জনসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।