লালমনিরহাটে বন্যা দুর্গত পরিবারের মানুষ গুলোর পাশে দাড়িয়েছে জেলা পুলিশ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য কোথাও কোথাও সরকারি ত্রাণ সহায়তা শুরু হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অত্যান্ত অপ্রতুল। ঠিক এই সময় লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বন্যার্তদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রধান অতিথি থেকে তিস্তা নদীর তীরবর্তী আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলার এক হাজার বন্যার্ত পরিবারগুলোর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করেন।
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানিতে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। নদী গুলোতে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও জেলার সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি কোন ভাবেই উন্নতি হচ্ছে না। বানভাষি মানুষ গুলো আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে হাজার হাজার মানুষ।
পানি বন্দি মানুষ গুলোর কথা চিন্তা করে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ৪০০টি পরিবার, হাতীবান্ধা উপজেলার গডিাডমারী ইউনিয়নের ৩০০টি পরিবার, শিংগীমারী ইউনিয়নের ১৫০ টি এবং সিন্ধুর্ণা ইউনিয়নের ১৫০ টি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রত্যেককে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি বিশুদ্ধ পানি, আধা কেজি মুড়ি ও ৫ প্যাকেট বিস্কুট ত্রাণ হিসেবে দেয়া হয়।
লালমনিরহাট পুলিশ এসএম রশিদুল হক পিপিএম জানান, জেলায় বন্যা কবলিত সকল মানুষকে হয়তো সহযোগীতা করা সম্ভব নয়। তারপরেও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যতটুকু পারা যায় আমরা চেষ্টা করছি বন্যা কবলিত পরিবার গুলোকে সামান্য ত্রান সামগ্রী বিতরন করার।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হাসান ইকবাল চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) তাপস সরকার, আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।