বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি সর্বকালের সকল রের্কড ভেঙ্গে বিপদ উচুঁ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সর্বগ্রাসী যমুনা এখন বাংলাদেশেনর সকল রের্কড ছাড়িয়ে মাঠ ঘাট প্রান্তর তছনছ করে দিয়ে ছুটছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদ সীমার ১২৮ সেন্টিমিটারউঁচু দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৫০বছরে যমুনা নদীতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহের এটি একটি রের্কড এমনটি জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নযন বোর্ড (পাউবো)।
গত কয়েক দিনের অব্যাহত বর্ষন ও উজানের ভারতের পাহাড়ী ঢলে ফলে পূর্ব বগুড়ার বন্যা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ রুপ নিতে শুরু করেছে। ইত্বমধ্যই যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি এবং সৃষ্ঠ ঘূর্নাবর্তের কারণে জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এখন হুমকীর মুখে।
অস্বাভাবিক ভাবে বন্যার পানি বৃদ্ধি থাকায় পূর্ব বগুড়ার সারিয়াকান্দি .ধুনট ও সোনাতলা উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যাকবলিতদের মধ্য এখন তীব্র খাবার সংকট চলছে।
নদীতে তীব্র ¯্রােত ও সৃষ্ট ঘূর্নাবেেতর কারণে অনেক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁেধ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয়রা জিও বস্তা ফেলে এবং পাইলিং করে বাধের ক্ষতিগ্রহস্থ স্থান মেরামতের চেস্টা চালাচ্ছে। তবে পানির লেভেল আরও বেড়ে গেলে বাঁধ রক্ষা করা দুরূহ হবে এমনটা আশঙ্কা নদী পাড়ের মানুষদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলদের কর্তব্য অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে বন্যা পরিস্থিতি ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁদের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা এখন নাজুক হয়েে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ বন্যা পরিস্থিতি ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধেরে পূর্ব নিরাপত্তায় উদ্যোগে নেয়া হলে এলাকার মানুষজনকে উৎকণ্ঠা বন্যা ভীতি নিয়ে থাকতে হতো।
এদিকে অব্যাহত ভাবে বানের পানি ঢুকে পড়ায় প্রতিদিন পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের জমির ফসল। প্লাবিত হচ্ছে ঘড় বাড়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দোকান পাট হাট বাজার। ইত্ব মধ্যই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ দান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তলিয়ে গেছে আশ্রয় কেন্দ্র।
বগুড়ার ধুনটে যমুনার প্রবল চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টায় সারিয়কান্দি পেেয়ন্টে যযুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।সূত্র বলছে গত শনিবার শনিবার থেকে চলতি মৌসুমে বগুড়ায় প্রথম বিপৎসীমা অতিক্রম করে যমুনা নদীর পানি।
এ বিষয়ে আরো জানা যায় উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র গতির ¯্রােত এখন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পূর্বাংশে আঘাত করছে। ফলে ফলে ইতমধ্যই প্রায় ৪৫ কিঃমিটার বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গ দেখা দিয়েছে।
সারিয়াকান্দি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)তে ৩৫বছর যাবত কর্মরত পানি মাপক দায়িতে থাকা আবদুল হামিদ এ প্রকিনিধিকে জানান, কর্মজীবনে যমুনায় এধরনের পানি তিনি দেখেননি। তিনি আরো জানান, এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। তিনি জানান বগুড়ার তিন উপজেলায় যমুনা নদীর তীরে ৪৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। প্রবল ¯্রােতের কারণে সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা, ছাতিয়ানতলা, সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ও কামালপুর এবং ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি, বানিয়াজান ও কৈয়াগাড়ি এলাকায় বাঁধের বিভিন্ন অংশ দিয়ে ১৬ জুলাই রাত থেকে পানি চুইয়ে ঢুকতে শুরু করে। পানি আটকাতে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালুর বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে।একই সাথে বাশের পাইলিং করা হচ্ছে। এ ব্যপারে স্থানীয় পাউবো এবং স্থানীয়রা এগিয়ে এসেছে।
বগুড়া পাউবোর একটি দায়িত্বশীল জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঝুঁকি মোকাবিলা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এদিকে এদত অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।