ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ট ইউএনও মোঃ জসীম উদ্দীন বলেছেন, শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট স্বপ্ন নিয়ে এগুতে হবে। মেধা বিকাশে প্রতিযোগিতামূলক বৃত্তি পরীক্ষা সহায়ক ভূমিকা হিসেবে কাজ করে। শিক্ষার মান বাড়াতে গুনগত শিক্ষা অর্জনে শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রম করতে হবে। সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। তাছাড়া সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, স্কুলে ঠিকমত যাচ্ছে কি-না খেয়াল রাখার দায়িত্ব অভিভাবকের, তাই সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের গুরুত্ব অপরিসীম। গত বুধবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৫ টায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন ফেঞ্চুগঞ্জ যুব সংঘের পরিচালনায় "রওশন আরা বেগম চৌধুরী স্মৃতি মেধা বৃত্তি” পরীক্ষার বৃত্তি প্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃৃৃৃতিক ব্যাক্তিত্ব ও ফেঞ্চুগঞ্জ যুব সংঘের সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা। ফেঞ্চুগঞ্জ যুব সংঘের সাহিত্য সম্পাদক ও সমাজকর্মী সৈয়দ তায়েফুজ্জামানের পরিচালনায় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ নুরুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কাছিম আলী সরকারী মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাদুজ্জামান, ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিছবাউর রহমান, সিলেট জহির তাহির উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাছিত, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন ইসকা, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওঃ হারুনুর রশীদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান রুমান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষানুরাগী হাজী আবদুল হাই খসরু, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম বাবুল, সাংবাদিক মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক দেলওয়ার হোসেন পাপ্পু, নাট্য ব্যাক্তিত্ব বাবু রনধীর রায়, কবি মফজ্জিল আলী, শিক্ষক শংকর চন্দ্র দেব, সমাজকর্মী কামাল আহমেদ, বাদল আহমদ, মেহরাব হোসেন জুনেল ও শাহজালাল এনজিএফএফ স্কুলের ছাত্র ও উপজেলা পর্যায়ে ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী তীর্থাঙ্কুর পাল। ফেঞ্চুগঞ্জ যুব সংঘের পরিচালনায় ৭ম শ্রেণীতে অনুষ্ঠিত "রওশন আরা বেগম চৌধুরী স্মৃতি মেধা বৃত্তি” পরীক্ষায় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে উপজেলা ট্যালেন্টপুল ও সাধারন, ইউনিয়ন ট্যালেন্টপুল ও সাধারন ও বিশেষ ক্যটাগরীতে বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্তদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
অনুুুুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন আবদুল মোতালেব ও পবিত্র গীতা পাঠ করে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী তমা দেবনাথ।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান ও সাবেক কাস্টম সুপার মরহুম সৈয়দ লুকমান আলীর সহধর্মিনী শিক্ষানুরাগী মরহুম রওশন আরা বেগম চৌধুরীর নামানুষারে এই মেধা বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। যার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন মরহুম সৈয়দ লুকমান আলী ও রওশন আরা বেগম চৌধুরীর কণিষ্ট কন্যা সৈয়দা রহিমা বেগম (ইব্বি)। সিলেটের সুনামধন্য মেডিসিন ও গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আবুল আহবাবের সহধর্মিনী।