খুলনার পাইকগাছায় পিসিএল সমবায় সমিতির বিরদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির কর্ণধর লিটন পরিষদের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, বিলাসবহুল জীবন যাপন নিয়ে সদস্যদের মধ্যে সন্ধেহের দানা বেঁধেছে। ইতোমধ্যে সমিতির টাকায় নিজনামে বেনামে সম্পত্ত্বি ক্রয়ের ঘটনাও ফাঁস হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রাহকের সঞ্চয়কৃত কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ পূর্বক বহিরাগমন হবার বিষয় নিয়ে চলছে নানামুখী সমালোচনা ঝড়।
খুলনা জেলা সমবায় অফিসের নিবন্ধন নিয়ে পপুলার হেল্থ এডুকেশান সঞ্চয় ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি সমবায় সমিতি নামকরণে উপজেলার কপিলমুনি বাজারে কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। যার রেজিষ্ট্রেশন নং-৯৩কে/১৪। পরবর্তীতে নিবন্ধন উপ-আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে বিগতদিনের নাম পরিবর্তন করে পিসিএল নামে আতœপ্রকাশ ঘটিয়ে এলাকার নিরীহ জনসাধারণকে আকৃষ্ট করে অল্পদিনেই লিটন সমিতির ব্যাপক টাকার ফান্ড আয়ত্ত করে। আরো জানা যায়, বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার গ্রাহক এ সমিতির অধিনে সঞ্চয় জমা দিচ্ছেন। যার মধ্যে থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে লিটন নিজেদের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্ত্বি ক্রয় করেছেন। এমতাবস্থায় ওই সমিতিতে গ্রাহকের সঞ্চয়কৃত টাকা আদৌ ফেরৎ পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহের দানা বেঁধেছে গ্রাহকের মাঝে। আর এসব টাকা দিয়ে রাজকীয় কায়দায় চলছে লিটন সহ সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে সমিতির মাসিক কালেকশনের বৃহৎ অংশের টাকা দিয়ে নিজনামে সম্পত্ত্বি ক্রয়, পিসিএল নামে আলাদা প্রতিষ্ঠান করে সেখানে সমিতির পূঁজি বিনিয়োগ করে স্বেচ্ছাচারিতা ও বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে বিভিন্ন সময় সমিতির আভ্যন্তরিন দ্বন্ধ প্রকাশ্যে চলে আসলে ফাঁস হয়ে পড়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি।
অভিযোগ উঠেছে, সমিতির নামে নামমাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চললেও গ্রাহকের সঞ্চয়ের টাকা নিজেদের একাউন্টে জমা বা সরবরাহ করে আসছে তারা। এদিকে নিবন্ধিত আইনে এফডিআর করার নিয়ম না থাকলেও সেখানে এফডিআর করে বিপুল পরিমান টাকা আয়ত্ত করছে তারা। একইভাবে সমিতির অধিনে ব্যাংকিং কায়দায় ডিপিএস করার নিয়ম না থাকলেও সমবায় সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে লিটন পরিষদ অনিয়মের মাধ্যমে ডিপিএস এর লাখ লাখ টাকা খরচ করে দামী গাড়ী, দামী মোবাইল সহ রাজকীয় বিলাসিতা করে চলেছে।
সূত্র মতে, সম্প্রতি প্রায় ২২লক্ষ টাকা আলমারি ভেঙ্গে চুরি হয়েছে মর্মে খাতায় লিপিবদ্ধ করলেও বিষয়টি রহস্যজনক ভাবে তা সম্পূর্ণ কাকতালীয়। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে পড়বে লিটন পরিষদের জাল জালিয়াতি সহ কোটি কোটি টাকার ফান্ড তছরুপের নানা অজানা কাহিনী। অষ্টম শ্রেণি পাশ লিটন দাশের জিরো থেকে হিরো; উত্থান পরের নিউজে তুলে ধরা হবে।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে লিটনের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে অন্যের কাছে ফোন দিয়ে দেন। এক পর্যায় নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
পাইকগাছা সমবায় কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার এফএনএসকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, এখানে কিছু দিনে আগে যোগদান করেছি, জেলা অফিসে স্যারের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।