লালমনিরহাট সদর উপজেলার টিএনটি এলাকায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ৮টি পরিবারের বসত ঘর পুড়ে অন্তত ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার(২২ জুলাই) বিকেলে ৩টার দিকে জেলা শহরের মিশনম্ড়ে টিএনটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করে আমিনুর ইসলামের ঘরের ভিতরে থাকা টিভি থেকে প্রথমে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। পরে আগুনের লেলিহান পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগে আগুন মুহুর্তের মধ্যে ৮টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসে। এ সময় ঘরগুলোতে থাকা লোকজন দ্রুত বের হয়ে আসায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে লালমনিরহাট ফায়ার স্টেশনের দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে আগুনে ৮টি ঘরে থাকা মুল্যবান মালামাল পুড়ে অন্তত ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, আমিনুর ইসলাম,আইয়ুব আলী, এরাশাদ আলী, মিঠু মিয়া, লিখন, মানিক মিয়া, পেয়ারী বেগম ও রুবেল মিয়া। এরা সবাই সবাই ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্ধা।
লালমনিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, আগুনে পুরে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো তাদেও কোন কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। ঘরের টিন পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাৎক্ষনিক তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ওই ৮টি পরিবারকে উপজেলা পরিষদ থেকে ৮ হাজার টাকা করে সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। সেই সাথে তাদেও কাপড়ের ব্যবস্থাও করেন।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জেলা প্রসাশক আবু জাফর, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মোঃ হাসান ইকবাল চৌধূরী, ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজখবর নেন এবং নগদ অর্থ প্রদান করেন।
লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. সেলিম ডেইলি জানান, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে।