চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত গৃহহীন এক পরিবার গত ২ সপ্তাহ যাবৎ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেখার যেন কেউ নেই। সরে জমিনে গিয়ে জানা গেছে,কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন সরকারের পুত্র মো:এরশাদুল হক তার পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের মানবেতর জীবন-যাপন। ২ সপ্তাহ পূর্বে ছিলেন তিনি এক বিল্ডিং বাড়ির মালিক। বর্তমানে থাকছেন স্ত্রী-পুত্র,পরিজন নিয়ে এক কুড়েঁ ঘরে। এরশাদুল হক জানান,চলতি বন্যায় গত ১৫ জুলাই ভোর ৪টার দিকে তার বাড়ির উত্তর পার্শ্বের পাকা সড়কটি ভেঙ্গে যায়। পাকা রাস্তা ভাঙ্গার সাথে সাথে অতর্কিত প্রবল শ্রোতের তোড়ে নিমিশেই বিধ্বস্ত হয়ে যায় তার ঠিকানটি। শত শত মানুষ শুধু চেয়ে দেখেছে। করার কিছুই ছিল না। প্রবল ¯্রােতে চোখের সামনে বিধ্বস্ত হল তার ৮সিসি দালানের ২ কক্ষ, ৬ কক্ষ বিশিষ্ট অর্ধ পাকা ১টি দালান,তার বাড়িতেই নির্মিত জনস্বার্থ ও শিক্ষার জন্য তৈরি ৭০ হাত মেঝে পাকা ১টি বে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,১টি ঘোয়াল ঘর,১টি রান্না ঘর ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রসহ তার ভিটে মাটি। এতে প্রায় তার ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন পৌঁছানো হয়েছে। কিন্তু ু এখনও তার কোন ফলাফল হয়নি। স্থানীয় যাদুর চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান,ওই দিনের বাড়ি ভাঙ্গার দৃশ্য আমি নিজ চোখে দেখেছি। কিন্তু ু কিছুই করার ছিল না। তবে বেচারার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। উপজেলা দূর্যোগ ফান্ড থেকে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। তবে গতকাল পর্যন্ত কোন সাহায্য সহযোগিতা পরিবার টির ভাগ্যে জুটেনি।