৭ উপজেলায় ভেসে গেছে ৬ হাজার ৭শত ৯৮ জন খামারীর ৯ হাজার ৩২টি পুকুরের মাছ
জামালপুর প্রতিনিধি॥জামালপুর জেলায় এবার স্মরণকালের বন্যায় সারা জেলায় প্রায় ৭ হাজার মৎস খামারীর ৯ হাজার ৩২টি পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে মৎস্য খামারিরা ব্যাপক অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মোটা অঙ্কের ব্যাংক ঋণের বোঝা দায় দেনার চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মৎস চাষিরা। তাই মৎস্য খামারিরা সর্বস্ব হারিয়ে এখন চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।
জেলা মৎস্য অফিস ও মৎস্য খামারি সুত্রে জানাযায়, জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলার মোট ৬৮টি ইউনিয়নের মঘ্যে ৬২টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তাই সারা জেলায় ভয়াবহ বন্যা ২২হাজার ৫’শ পুকুর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৯হাজার ৩২টি পুকুর সম্পূর্ন প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বন্যায় পুকুরের চার পাশে জাল এবং টিনের বেড়াঁ দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেনি মৎস খামারিরা। সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সারা জেলার ১৬হাজার ৪ শ ৮৬ জন মৎস্য খামারি। এতে করে প্রায় ৪৮ কোটি টাকার মাছ ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় পুকুরের অবকাঠামোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো প্রায় ৮ কোটি টাকার। হঠাৎ বন্যায় সবকিছু তছনছ হয়ে যাওয়ায় এখন হতাশায় ভূগছেন মৎস্য খামারীরা। এ বিষয়ে মেসার্স লিক্স্রা মৎস্য খামারী মেলান্দহ উপজেলার ক্ষুদিয়াকান্দা এলাকার বাসিন্দা মাহবুবা নাসরিন জানান, তার প্রায় ২০ একর জমির খামারে প্রায় কোটি টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। সদর উপজেলার মেরাজ মৎস্য খামারের মালিক মেরাজুল হক তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণের টাকার কিস্তি পরিশোধ, মাছের খাবারের বাকী টাকার ঋনের বোঝা নিয়ে দিশেহারা তারা। বর্তমানে দূর্র্চিন্তায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন মৎস খামারিরা।
খামারীদের দাবী, সরকারী ভাবে তাদের সহযোগিতা না করা হলে তারা এখন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবারের ভয়াবহ বন্যায় সারা জেলার মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা প্রনয়ণ করে সরকারের কাছে চাষীদের জন্য প্রণোদনার জন্য সুপারিশ করবো। তিনি আরোও উল্লেখ করেন,মৎস খামারিরা সহযোগীতা না পেলে মাছ চাষে বিমুখ হয়ে পড়বে।