বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য, শরীয়তপুরের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত জননেতা কে.এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব সহ তাঁর সফর সঙ্গী ৭ জনের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (৩ আগস্ট ২০১৯ইং) সকালে শরীয়তপুরের ধানুকা এলাকায় শরীয়তপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হোসেন সরদারের সভাপতিত্বে ও যুবদলের সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুতের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আঃ মান্নান মাদবর। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ভিপি রুহুল আমিন মুন্সী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ালী উল্যাহ খান, কাজী মাসুদ, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মোল্যা, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন হাওলাদার, সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজম ফকির, পৌরসভা যুবদলের সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান বেপারী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আ: সালাম মাঝী, যুবদল নেতা শাহীন বেপারী, সিদ্দিক খান, হান্নান, নাসির জমাদ্দার, ছাত্রদল নেতা রাসেল মোল্যা, সাধারণ আল ইসলাম, মিজান খান, হাবিবুর রহমান, রুবেল মাদবর, ইসহাক সরদার, সাব্বির প্রমূখ।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের সাবেক সংসদ সদস্য কে.এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব ২০১৩ সালের এই দিনে ঢাকা-মাওয়া সড়কের মেদেনীমন্ডল ইউনিয়নের খানবাড়ি এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় তিনি সহ তাঁর সফর সঙ্গী ৭ জন মারা যান। ১৯৫৫ সালে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্কুলজীবন থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে পা রাখেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আওরঙ্গজেব। তিনি ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। এছাড়াও পরে তিনি বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-গোসাইরহাট-ভেদরগঞ্জ) আসনে নির্বাচনও করেছেন। আর বর্তমানে তাঁর স্ত্রী অ্যাডভোকেট তাহমিনা আওরঙ্গ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মরহুম কে.এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব স্ত্রী, এক পুত্র-কন্যা সন্তান, ৩ ভাই ও ৩ বোন সহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।