সোনারগাঁয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে রায়হান (২৫) নামের এক যুবকে এলাকাবাসী আটক করে গণ-ধোলাই দিয়ে পুলিশে শোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার বিকালে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের বৈদ্যের বাজার মেঘনা নদীর ঘাট সংলগ্ন আল-মোস্তফা কোম্পানির সামনের কাঁচাবাজার এলাকায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষণের চেষ্ঠাকারী যুবক রায়হান ঐ এলাকার আল-মোস্তফা কোম্পানির মাস্তান গ্রুপের সদস্য গণী মিয়ার শ্যালক হওয়ায় কিশোরীর পরিবার থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের বৈদ্যের বাজার মেঘনা নদীর ঘাট সংলগ্ন আল-মোস্তফা গ্রুপ অফ কোম্পানির সামনে কাঁচাবাজার এলাকায়
গতকাল রোববার বিকেলে আল-মোস্তফা গ্রুপ অফ কোম্পানির শ্রমিক মুন্সীগঞ্জ জেলার মুক্তারপুর ইউনিয়নের চাঁন্দেরচর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে রায়হান বৈদ্যের বাজার কাঁচাবাজারের পিছনে সাতভাইয়াপাড়া গ্রামের নান্নু হাজীর বাড়ির পাশে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে একা পেয়ে দুই ঘরের ফাঁকা যায়গায় টেনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় কিশোরীর ডাক-চিৎকার শুনে এলাকাবাসী রায়হানকে আটক করে গণ-ধোলাই দেয়। পরে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি সোনারগাঁ থানাম পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানার এসআই পংকজ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের চেষ্ঠাকারী রায়হানকে থানায় নিয়ে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, পুলিশ ধর্ষণকারীকে থানায় নিয়ে গেলেও ওই কিশোরীর পরিবার থেকে এখনো কেউ অভিযোগ করতে থানায় যেতে সাহস পাচ্ছেনা। কারণ রায়হান বৈদ্যের ববাজার এলাকার কোন এক প্রভাবশালী আল-মোস্তফা কোম্পানির দালালের শ্যালক। কিশোরীর পরিবার থানায় যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষনের চেষ।ঠাকারী রায়হানকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।