বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে দুই যুবককে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় করা মামলায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলাটির দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
সোমবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর ভেকুরিয়া এলাকা থেকে সবুজ (৩৫) নামে একজন কে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার ব্যবহ্নত পালসার নিল রংয়ের মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। সে শাজাহানপুর উপজেলার কাবাষট্টি গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে।
এরআগে পিস্তলগুলিসহ আবদুস সালাম (২৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়। সে নন্দীগ্রাম উপজেলার তেতুলিয়াগাড়ীর আবদুল জব্বারের ছেলে।
জানা গেছে, বর্ষন চেচুয়া পাড়া গ্রামের হায়দার আলী খুন হয় ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর। ওই মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন শাহীন সম্প্রতি জামিনে বের হয়। এরপর হায়দার হত্যা মামলার বাদী আবদুল গফুর ও তার ভাই ভাতিজারা গত বুধবার (৩১ জুলাই) রাতে আনোয়ার হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়।
এ ঘটনায় শাহীনের বাবা শামছুল হক বাদী হয়ে হায়দার হত্যা মামলার বাদী গফুরসহ তার পরিবারের ৯ জনের নামে থানায় মামলা করে। এঘটনার একদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় গফুরের জামাতা আবদুস সালাম তিনটি মটরসাইকেল যোগে কয়েকজন যুবক চেচুয়া পাড়া গ্রামে গিয়ে হায়দার হত্যা মামলার অন্যান্য আসামীদের খুজতে থাকে। গ্রামের লোকজন তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা গুলি করেন। এতে জামাল ও পুটু মিয়া নামের দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির বলেন, গুলিবিদ্ধের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ২ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।