জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা সমাজসেবা ভবনের জির্ণদশা। ছাদের কিছু জায়গায় ফাটল ও পলেশতারা খুলে পড়তে শুরু করেছে নিরব কতৃপক্ষ। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- বয়স্ক, বিধবা, মুক্তি যোদ্ধা, প্রতিবন্ধি ভাতা, ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প, পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষন প্রদানসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকা- পরিচালনা করে থাকেন এ দপ্তর। প্রতিদিন গ্রাম পর্যায় থেকে প্রায় শতাধিক মানুষ আসে এই অফিসে।
সকল দপ্তরের ন্যায় সমাজ সেবা ভবনেও প্রতিনিয়ত চলছে এ রকম গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম। উপজেলা সমাজ সেবা ভবনটি পুরাতন হওয়া এর ছাঁদ থেকে ধসে পরছে পলেশতারা। আর বড় বড় ফাটল ধরে দেবে গেছে দেয়ালের একাধিক অংশ। যা দেখলে মনে হবে কখন ভেঙ্গে পরে মাথার উপর। এমন ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়িত কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তবে ঝুকি মুক্ত নয় সেবা প্রত্যাশিরাও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশ সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১৯৮৫ সালে নির্মিত হয় এই ভবনটি। আরসিসি পিলার ছাড়াই শুধু ইটের গাথুনি দিয়ে তৈরির কারণে ভবনের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় ফাটল ধরে দেবে গেছে দেয়াল ও বেশ কিছু অংশ। ভবনটির ছাদে জলছাদ না থাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি চুয়ে চুয়ে অফিস ঘড়ের র্যাকে থাকা গুরুত্ব পূর্ন রেকর্ড ফাইল গুলো ফাঙ্গাস ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছাদটি ডেমেজ হওয়ার কারণে এমন ভাবে পলেশতারা খুলে পরছে, ছাদের রড দেখা যাচ্ছে।
ওই দপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও অফিস সহকারী নাসরিন আক্তার বলেন, জীবনের ঝুঁকিনিয়ে কাজকর্ম করছি। কখন যে মাথার উপর ছাঁদ ধসে পরে। আবার প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বড় ঝুঁকিতে আছি ভাই কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি আমরা।
বীর মুক্তি যোদ্ধা আজাহার আলী প্রয়োজনীয় কাজ সারতে এসে ভবনের এই র্দূবস্থা দেখে বলেন, এই জরাজির্ণ ভবনে দূঃসাহসের সাথে কাজ করলে আপনারা মরবেনতো মরবেনই সেবা নিতে আসা অসহায় দুঃস্থ মানুষদেরকেও মারবেন। কর্তৃপক্ষের উচিত অচিরেই ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে অন্যত্র কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং নতুন ভবন নির্মান করা।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ভবনটির দূরাবস্থার কথা জানিয়ে পূর্ণ নির্মানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করেছি। সাময়িক ভাবে সংস্কারের জন্য উপজেলা মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় একাধিক বার বলা হলেও এ-পর্যন্ত কোন বাজেট বরাদ্দ মিলেনি। আল্লাহই জানে কখন কি বিপদ ঘটে।
ঝুকিপূর্ণ সমাজ সেবা অফিস ভবনের কথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান বলেন, এটি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিজস্ব ভবন, নির্মান বা পূণঃনির্মান অধিদপ্তর থেকেই হবে। তবে আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দিচ্ছি আগামি কালকের মধ্যেই রিপোর্ট দেয়ার জন্য। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।