পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ১টি মাত্র কোরবানির পশুর হাট বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে একটি চাদাঁবাজ চক্র।
প্রতি ঈদেই তাহিরপুর উপজেলার শান্তিপুর বাজার,জনতা বাজার ও আনোয়ারপুর বাজারে জনস্বার্থে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়। কিন্তু এ বছর একটি প্রভাবশালী মহল পশুর হাটকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের জন্য শুধুমাত্র ১ জায়গায় (বাদাঘাট বাজারে) কোরবানির পশুর হাট বসিয়েছে।
জানা যায়,তাহিরপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আসিফ ইমতিয়াজ অস্থয়ীভাবে পশুর হাট দেয়ার জন্য জনস্বার্থে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ,তাহিরপুর একটি জনবহুল উপজেলা। এ উপজেলায় ১টি মাত্র পশুর হাট বাদাঘাট বাজারে বসানো হয়েছে যার ফলে গরু ক্রেতা বিক্রেতারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন সহ চাদাঁবাজি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সে দিক বিবেচনা করে প্রতি বছরের মত এ বছরও তাহিরপুর উপজেলার শান্তিপুর বাজার,জনতা বাজার ও আনোয়ারপুর বাজারে অস্থায়ী গরুর হাট বসানোর দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আব্দুজ জহুর তালুকদার বলেন, জনগনের সুবিধার্তে আমার বালিজুরি ইউনিয়নে প্রত্যেক বছরেই অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়। এ বছর যদি না হয় তাহলে লোকজন অনেক হয়রানির শিকার হবে।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল সহ একটি সিন্ডিকেট লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বাদাঘাট বাজার ব্যাতীত উপজেলার অন্য কোন জায়গায় পশুরহাট না হওয়ার জন্য চেষ্ঠা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আসিফ ইমতিয়াজ বলেন,জনস্বার্থে আমি ও চেয়ারম্যানগণ অস্থায়ী পশুর হাট দেয়ার লক্ষ্য প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি। এখন অনুমোদনের বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.আব্দুল আহাদ বলেন,আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দেয়া হবে।