ফাকা থেকে অপহৃত বেসরকারি মোহনা টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মুশফিকুর রহমা কে অজ্ঞান অবস্থায় সুনামগঞ্জের গোবিন্দপুর থেকে উদ্ধার করেছে সুনামগঘ্জ সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রাম সংলগ্ন সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তাকে কেউ অপহরণ করে এখানে ফেলে দিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে গোবিন্দপুর গ্রামের পাশে সড়কে তিনি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে দৌড়াচ্ছিলেন। এ সময় গ্রামের মসজিদের ইমাম তাকে মসজিদের ভেতরে আশ্রয় দেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে সুনামগঞ্জ মডেল থানার এসআই জিন্নাত তালুকদারসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। তার শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের ডাক্তার।
অপহৃত সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান বলেন, গত ৩ আগস্ট গুলশান গোলচত্বর এলাকার হোটেলে তার মামার সঙ্গে নাস্তা খেয়ে তিনি মিরপুরের বাসায় যাওয়ার জন্য একটি বাসে ওঠেন। ওঠে দেখেন বাসটি মিরপুরের নয়। একপর্যায়ে বাসের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় তারা মুখে পানি জাতীয় পদার্থ স্প্রে করে এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি। জ্ঞান ফিরলে তিনি বুঝতে পারেন তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা তাকে অনেক মারধর করেছে এবং একপর্যায়ে গুলি করে হত্যার হুমকিও দিয়েছে। পানি খেতে চাইলে তাকে পানিও খেতে দেয়নি। গত কয়েকদিন তাকে কেক, পেয়ারা খেতে দিয়েছে। তার উদ্ধারের খবর পরিবারের কাছে জানানো হয়েছে।
মুশফিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার চরবোয়ালী ফকির বাড়ি। তিনি ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার ৪ নম্বর রোডের একটি বাসায় বসবাস করতেন। গত শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।