চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অবসরপ্রাপ্ত সাত কর্মকর্তা এবং আমদানিকারকসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতারণা এবং জালিয়াতি করে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য খালাসের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে। এর আগে সোমবার বিকেলে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা, সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খান এবং উপ-সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ মামলাগুলো দায়ের করেন।
আজ মঙ্গলবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান উপ-পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দন। এতে মামলার আসামিরা হচ্ছেন- চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অবসরপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম, হুমায়ুন কবির, প্রাণবন্ধু বিকাশ পাল, মো. নিজামুল হক, সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, মোহাম্মদ সফিউল আলম, সাইফুর রহমান, আমাদানিকারক মোহাম্মদ কাসিফ ফোরকান, হারুন শাহ, মো আবুল হাসনাত সোহাগ, মমিনুল ইসলাম, মির্জা আহসানুজ্জামান, এম এ আলীম, মুসা ভূঁইয়া, মইনুল আলম চৌধুরী, হাজী ফোরকান আহমেদ, নুরুল আলম, মো. জহিরুল ইসলাম, রুবেল আহমেদ,
আইনুল হক, সাহিদুর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম, ফাহাদ আবেদীন সোহান এবং জোতিময় সাহা। মামলা সূত্রে জানাগেছে, ওই আসামিরা ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানিকৃত পণ্য খালাস করে ২ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৪শ’৮৭ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ওই মামলাগুলো দায়ের হয়েছে। এদিকে বন্দরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন-আসামীরা কর্মরত থাকা অবস্থায় টাকার পাহাড় বানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে- অবৈধ পন্থায় তারা এসব টাকার মালিক হয়েছেন।