খুলনার পাইকগাছায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে উপ-সহকারী, ফার্মাসিস্ট ও পিয়ন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বছরের পর বছর মেডিকেল কর্মকর্তা না থাকায় সঠিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার দরিদ্র মানুষ।
জানা যায়, উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে ৬টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন পিয়ন (এমএলএসএস) থাকার কথা থাকলেও এগুলো চলছে উপ-সহকারী, ফার্মাসিস্ট ও পিয়ন দিয়ে। উপজেলার গদাইপুর, আগড়ঘাটা ও গড়ইখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চলছে একজন করে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা দিয়ে। বাঁকা ও কাটিপাড়া কেন্দ্র চলছে একজন করে ফার্মাসিস্ট দিয়ে। এরমধ্যে বাঁকার ফার্মাসিস্ট থাকেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং চাঁদখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চলছে একজন পিয়ন দিয়ে।
প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মেডিকেল কর্মকর্তা সহ ৫জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র একজন করে কর্মচারী। এ ক্ষেত্রে ৬টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৬জন কর্মচারী চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব পালন করছেন। ডাক্তারসহ জনবল সংকটের কারণে এলাকাবাসী স্ব-স্ব এলাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফার্মাসিস্ট ও পিয়নরা ডাক্তারের ভূমিকায় থাকায় অপচিকিৎসার ভয়ে এলাকাবাসী অত্র সেবা কেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আবার স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলো অবকাঠামো দিক দিয়ে পাকা ও আধুনিকায়ন হলেও ভবনের চারিপাশ নোংরা ও স্যাঁতসাঁতে অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল কর্মকর্তা সুজন কুমার সরকার এফএনএসকে জানান, জনবল সংকটের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।