কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে এলাকাবাসীর। সামান্য বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপোযাগী হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য খানা খন্দক হওয়ায় অন্ধকারে ঘটছে নানা ধরণের দুর্ঘটনা। যানবাহন চলাচলও বন্ধ প্রায়। এমন চিত্র দেখা গেছে নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পুর্ব সাঞ্জুয়ারভিটা সড়কের।
স্থানীয়রা জানায় সাঞ্জুয়ারভিটা, সেনপাড়া, অন্তাইপাড়, ধনিটারী, বোয়ালেরডারা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ১০ বছর আগে ২ কি.মি. দীর্ঘ এ সড়কের নাগেশ্বরী বাজার থেকে মহসিন কেরানী বাড়ী পর্যন্ত পাকা করা হলেও বাকী ১ কি.মি এখনো কাচা। দীর্ঘ ২৩ বছর অতিবাহিত হলেও সংস্কার করা হয়নি রাস্তাটির। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায় প্রতিবছর বন্যায় এ রাস্তার উপর দিয়ে তীব্র ¯্রােতে পানি প্রবাহিত হওয়ায় তা ক্ষয়ে নিচু হয়ে গেছে। বর্ষার একটানা বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি উঠায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর বন্যায় এর উপর দিয়ে ৩-৪ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। ফলে পানিবন্দী হয়ে বাড়িতে অবরুদ্ধ জীবনযাপন করেন এ সড়কে চলাচলকারীরা।
এবারেও রাস্তার উপর দিয়ে বন্যার পানির তীব্র ¯্রােতে অসংখ্য জায়গায় ভেঙ্গে খানা খন্দক ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মোটর সাইকেল, রিক্সা, বাইসাইকেলসহ হালকা যানবাহনগুলোও উল্টে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় মনছুর আলী, খোকন, বাবলু মিয়া, শহিদুল ইসলাম, আবদুর রশিদ, বাচ্চু মিয়া বলেন আমরা প্রথম শ্রেনীর পৌরসভায় বসবাস করেও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। একমাত্র সড়কের কারণে বর্ষা এলেই আমরা দুর্ভোগে পড়ি। আমাদের এই করুণ চিত্র কারো চোখে পড়ে না। তাই দুর্ভোগ নিরসনে রাস্তাটি দ্রুত উঁচু ও পাকাকরণ করা হোক।
নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন বলেন আমি মেয়র মহোদয়কে বলেছি। তিনি কথা দিয়েছেন ঈদের পরে সড়কটি সংস্কারের চেষ্টা করবেন।