রাজশাহীর মোহনপুরে হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সংখ্যালঘু স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ এবং কারমিনা নামের সিরাপের বোতল জদ্ব করা হয়েছে। হাতুড়ে ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন মেলান্দী গ্রামের মুত জালাল উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে হাতুড়ে ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন পলাতক রয়েছে।
এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার মেলান্দী গ্রামের সুগ্রীব হালদার অরফে প্রকাশের মেয়ে স্কুলছাত্রী প্রত্যাশা (৭) গতকাল বুধবার সকালে হঠাৎ করে পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই সময় একই গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন সুগ্রীব হালদার অরফে প্রকাশের বাড়িতে এসে স্কুলছাত্রীকে ইউনাইটেড ফেন্ডস ল্যাবরেটরীজ বগুড়া “কারমিনা সিরাপ” সেবন করান। স্কুলছাত্রীকে কোন প্রকার পরীক্ষা নিরক্ষা ছাড়াই সিরাপ প্রাণ করার কিছুক্ষণ পর স্কুলছাত্রীর অবস্থার চরম অবনতি হতে থাকে। হাতুড়ে ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন কৌশলে স্কুলছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে ছটকে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া সময় পথে মধ্যে মৃত্যু হয়। স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে স্কুলছাত্রী প্রত্যাশার মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যাশা মেলান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে পড়া লেখা করত। হাতুড়ে ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোহনপুর থানায় ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানানন, বিষয়টি মামলার প্রস্তুতি চলছে।