কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সাজনপুর গরুর হাট, বাজিতপুর উপজেলার সরারচর গরুর হাট, পাকুন্দিয়া উপজেলার শিমুলিয়া বাজারে সারা বছর নিয়মিত গরুর হাট বসে থাকে। এ ছাড়া বাজিতপুর পৌরসভার বাসমহলে গতকাল বৃহস্পতিবার গরুর বাজার জমে উঠেছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরুর খাদ্যের দাম বেশী হওয়ার কারণে বিক্রেতারা ক্রেতাদের নিকট কম দামে গরু বিক্রি করছেন না বলে জানাগেছে। সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে নিকলীর সাজনপুর গরু বাজারে কয়েক হাজার বিভিন্ন দামের গরু, ছাগল, মহিষ উঠেছে। বিক্রেতারা জানান, তাদের গরু বানাতে গিয়ে প্রতিটি মাঝারি ধরনের গরুতে খরচ পরেছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। কিন্তু লাভ কম করে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ এ বছর বন্যার পানিতে গরু রাখার মত জায়গা তাদের নেই। একই সঙ্গে বর্ষার কারণে গোখাদ্যের দামও অনেক বেশি। সাজনপুর বাজারের ইজারাদার মো: আলম মিয়া, সাহিন মিয়া ও কমিটির সভাপতি মরসফ আলী জানান, কঠিন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গত বুধ বার বৃষ্টির মধ্যে গরু বিক্রি ভালই হয়েছে। তবে এ বছর গরুর হাটের ইজারা বেশি হওয়ার কারণে খুব একটা লাভ করতে পারবেন না বলে জানান।