কালীগঞ্জে - ঝিনাইদহ ও যশোর মহাসড়কের উপর ৩টি ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজ সংস্কার হয়নি কয়েক মাসেও। ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজের স্থান গুলি হল কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনি কলের পাশে,ছালাভরা নামক স্থানে ও হামদহ স্থানে। এসব ব্রিজ ভেঙ্গে রয়েছে বা নির্মান না করার কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। কালীগঞ্জ উপজেলার যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ছালাভরা নামক স্থানে। বিশেষ করে হামদহ বাসষ্টান্ড থেকে কালীগঞ্জ চিনি কল পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ টি ব্রীজ অকেজো হয়ে পড়েছে।
মহাসড়কের সংযোগকারী কালভার্ট এর উপরের রাস্তার মাঝের অংশের বেশিরভাগ ভেঙ্গে গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দুই পাশের অংশ দিয়ে কোনমতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে চলছে সকল ধরনের হালকা, ভারী ও অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন। মহাসড়কের এই অংশটি মেরামত না করায় চালক, যাত্রী, পথচারী ও এলাকাবাসী চরম উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে জান ও মালের অপূরনীয় ক্ষতি। যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে কালীগঞ্জ থেকে প্রায় ৬ কিঃমিঃ উত্তরে অধিক দুর্ঘটনা প্রবন এলাকা ছালাভরা নামক স্থানে ব্রিজের ওপরে রাস্তার মাঝের অংশ ভেঙ্গে গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এক মাস যাবৎ। বৃষ্টির কারণে সড়কের ঐস্থানটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজ অনেকটা দায় সারার মত,একটি সাইনবোর্ড ও লাল পতাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে সতর্কতা চিহ্ন। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। রাতে ঐ মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকদেরকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে এলাকাবাসী মহাসড়কের ভাঙ্গা রাস্তার মাঝে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে পুতে দিয়েছে খেঁজুরের ডাল যাতে চালকরা দূর থেকে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মহাসড়কে চলাচলকারী জে আর পরিবহনের চালক আরিফ বলেন, ঝুকি নিয়ে সড়কে চলাচল করে থাকি এই এলাকা সড়ক দূর্ঘটনার জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে অতি পরিচিত তাই প্রায়ই এখানে ছোটবড় সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। গত মাস খানেক পূর্বেও এই স্থানে একটি সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই ব্রিজের পাশের খাদে পড়ে চালক ও হেলপার মারা যান। এরপর একমাসে ও সংস্কার হয়নি কালভার্টটি।
খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় ব্রিজ ফেটে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সড়ক বিভাগ বলছে, নতুন ব্রিজ করতে হবে। কাজ শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এ ব্রীজে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোন সময়। গত মাসে খুলনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী এ মহাসড়কের পুরনো ব্রিজটিতে ভয়াবহ ফাটল দেখা দেয়। এরপর সড়ক বিভাগ থেকে ব্রিজের দু’পাশে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর থেকে ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে একমুখী পথে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে প্রতিনিয়ত যানজটে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। ঝিনাইদহ শহরে ও কুষ্টিয়া, মাগুরা, কালীগঞ্জ, খুলনা বা ঢাকা যাবার সড়কের উপর এই ব্রিজটি।স্থানীয়রা জানায়, অত্যন্ত ব্যস্ততম এই মহাসড়ক। প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে প্রায় তিন হাজারেও বেশি যানবাহন চলাচল করে। বর্তমানে ভাঙা ব্রিজের একপাশের অবশিষ্ট অংশ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করছে মারাতœক ঝুকি নিয়ে।এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী ট্রাক চালক সাপ্পা মন্ডল বলেন, কুষ্টিয়া থেকে মালামাল নিয়ে খুলনা যাচ্ছি। কিন্তু এখানে ব্রিজ ভেঙে গেছে জানা ছিল না। ব্রিজ ভাঙার কারণে ৫ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে হবে।
অপরদিকে মোবারকগঞ্জ চিনি কলের পাশে দীর্ঘ ৮ মাস একটি ব্রিজ নির্মান করতে ব্যার্থ হয়েছে। ফলে প্রতিদিন সেখানে ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। আর যানবাহন জ্যামের তো কিনান ঠিক ঠিকানা নাই। জ্যাম হলে রাস্তার দু,পাশে ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার যানবাহন আটকিয়ে পড়ে। এ ব্রিজটি ঠিকাদারের গাফলতির কারণে মেরামত করা হয়নি যথাযথ সময়ে।মহাসড়কের এক পাশে রাস্তা থুড়ে রাখা রয়েছে ফলে প্রতিদিন এ ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে যানবাহন পড়ে দূর্ঘটনা ঘটছে।