আর মাত্র মাত্র ৪ দিন বাকি পবিত্র ঈদ উল আযহার। যশোরের কেশবপুরে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুহাট। বুধবার কেশবপুরের হাট বার থাকায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। কেশবপুর পৌর শহর, উপজেলার শুড়িঘাটা, ভান্ডারখোলা, মঙ্গলকোট, সাতবাড়িয়া ও সরসকাটি বাজারসহ মোট ৬টি পশুর হাট বসেছে। এসব হাট ঘুরে দেখা গেছে, যথেষ্ট পরিমানে দেশী গরু বাজারে রয়েছে। দু’একটি ভ্রাম্যম্যান পশু হাটে ভারতীয় গরু দেখা গেলেও পৌর শহরের পশু হাটে ব্যতিক্রম দৃশ্য চোখে পড়ে। এখানে শুধু দেশীয় খামারে পালিত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ায় পরিপুর্ণ হয়ে গেছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদ-উল আযহা। যার হাওয়া লেগেছে কেশবপুরের পশু হাটে। সাপ্তাহিক হাটবার হিসেবে সোমবার ও বুধবার সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতাদের জমজমাট বেচা-বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় গরু না থাকায় এসব হাটে এবছর দাম গত বছরের তুলনায় একটু বেশি। এতে সন্তষ্ট খামারী ও দেশীয় গরু ব্যবসায়িরা। লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্য পাওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে না খামারীদের। একই ভাবে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে পশু কিনছেন ক্রেতারা। তাই বিক্রিতেও রয়েছে প্রতিযোগিতা। এ বছর পশু হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশী। উপজেলার সাগরদত্তকাটি গ্রাম থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, বাজারে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরু বিক্রি বেড়েছে। দেশি গরু বেশী বিক্রি হওয়ায় আমরা খুশি। কোরবানীর পশু কিনতে আসা অনেকেরই অভিযোগ, অন্য বছরের তুলনায় এবছর পশুর দাম অনেক বেশী। ভারতীয় গরু না আসার অজুহাতে দেশি গরুর আকাশ ছোঁয়া দাম হাকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গরুর দাম বেশী থাকার কারণে অনেকে ছাগল কোরবানি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মনিরামপুর উপজেলার আমিনপুর গ্রাম থেকে আসা ক্রেতা রাফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের এলাকায় পশুর দাম বেশী হওয়ায় এখানে এসেছি, কিন্তু এখানেও অনেক দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। দাম বেশী হলেও অসংখ্য পশুর মধ্য থেকে তাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দসই পশুটি কিনতে পেরে মহা খুশি তারা।
বুধবার উপজেলা সদরের পশুহাট মালিক আফজাল হোসেন বাবু বলেন, অন্য বারের তুলনায় এবার প্রচুর পরিমানে দেশি গরু, ছাগল ও মহিষ ভেড়া আমদানি হয়েছে। বেচা বিক্রিও অনেক বেশী। কেশবপুরের পশুহাটটি অনেক পুরাতন একটি হাট। এটি যশোর,খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পশুহাট হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া জাল টাকা সনাক্ত করণ মেশিন থাকাসহ বাজারের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় দুর-দুরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাগণ আসছে এবং নির্ভয়ে বেচা-কেনা করছেন। প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে ২ হাজার গরু বিক্রি হচ্ছে। ৭০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা দামের গরু বাজারে এসেছে। গ্রামগঞ্জের মানুষ শেষ মুহুর্তে কেনা-কাটা করে থাকে। তাই শেষ মুহুর্তে আরো বেশী পশু বিক্রি হওয়া এবং বাজার আরো জমজমাট হওয়ার আশা করছেন তিনি।