বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌরসভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল আমিনা খাতুন (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমিনা খাতুন ওই গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে ও কাজী আবদুল ওয়াজেদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমিনা খাতুনের বিয়ে একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সাকিব হোসেন (১৫) সঙ্গে ঠিক করেন তার পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সে উপলক্ষে কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শারমিন আখতার পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। তারা সেখানে গিয়ে কনের বাবা-মা এবং পরিবারের সকলকে বিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করলে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তারা মেয়ের বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা দেন।
এদিকে বিয়ের বাড়িতে ইউএনও’র উপস্থিতির খবর পেয়ে বর পক্ষের লোকজন পথিমধ্য থেকে ফিরে যান।