খুলনার পাইকগাছায় কোরবানীর পশুরহাট শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে। কোরবানীকে সামনে রেখে কয়েক জায়গায় অস্থায়ী পশুরহাট বসেছে। তবে স্থায়ী-অস্থায়ী সব হাট গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়। অস্থায়ী হাট গুলো ঈদের আগের দিন পর্যন্ত পশু বিকিকিনি চলবে। হাট গুলোতে সার্ধের মধ্যো সব সাইজের গরু-ছাগল উঠছে। তবে দাম নিয়ে খুঁশি না কোনো পক্ষই। ক্রেতা বলছেন দাম বেশি আর বিক্রেতা বলছে দাম কম। তবে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি স্বাস্থ্যসম্মত দেশী জাতের গরু। যাহা স্থানীয় ভাষায় টাইট গরু হিসাবে পরিচিত।
হাট কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছেন। কোরবানি পশুরহাটে যাতে কেউ রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করতে না পারে তার তদারকি করছে হাট কর্তৃপক্ষ। এ বছর দেশীয় জাতের মাঝারি আকারের পশুর চাহিদা বেশি। লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওষুধ দিয়ে মোটাতাজা করা গরুর চাহিদা কম।
উল্লেখ্য, উপজেলায় চাঁদখালী ও কাশিমনগর দুটি স্থায়ী এবং গদাইপুর, জিরোপয়েন্ট ও বাঁকা বাজারে ৩টি অস্থায়ী সহ মোট ৫টি পশু হাট বসেছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানীর পশুরহাট গুলোতে গৃহপালিত, খামারী ও ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত গরু ও ছাগল সরবরাহ করছে। সেই সাথে ক্রেতা সংখ্যাও বাড়ছে। আবার ক্রেতারা পছন্দের কোরবানীর পশুটি ক্রয়ের জন্য বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করে রাখছেন। কোরবানীর আগের দিন পশুটি ক্রেতার কাছ থেকে গ্রহণ করবে। হাট গুলোতে ছোট ট্রাকে করে ফরিয়াররা (ব্যাপারি) গরু নিয়ে আসছে। ছোট সাইজের গরু সর্বনিন্ম ৩০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে।
বিগত বছর গুলোতে বিদেশী জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দেশি জাতের ৩৫ হাজার মূল্যের মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ৬ থেকে ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হাট ঘুরে কয়েকজন ক্রেতা এফএনএসকে জানান, তারা শহরের তুলনায় অনেকটা কম মূল্যে স্বাচ্ছন্দ্যে পছন্দের পশুটি ক্রয় করতে পারছেন। খুলনা বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদ আহমেদ খান জানান, খুলনার ১০ জেলার চাহিদা অনুযায়ী খামার গুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুশু আছে। অভ্যান্তরীন উৎপাদিত পশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এতে স্থানীয় খামারীরা লাভবান হবেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ বিশ্বাস এফএনএসকে জানান, হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণীসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। হাট কমিটির উদ্যোগে বাজার মনিটরিং ও প্রচারের জন্য মাইকের ব্যবস্থা করে ক্রেতাদের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। অন্যদিকে পাইকগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ এফএনএসকে জানান, কোরবানির পশু বাণিজ্য ঘিরে জালনোট রোধ ও হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।